নতুন সংবিধান ঘিরে উত্তপ্ত নেপাল, তরাই অঞ্চলে বিক্ষোভকারীদের মিছিলে পুলিসের লাঠি, বাড়ছে উত্তেজনা

নতুন সংবিধান ঘিরে অশান্ত নেপাল। তরাই অঞ্চলে প্রতিবাদীদের মিছিলে পুলিসের লাঠি চালানোয় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে। ভারতে অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে সতর্ক করেছে নেপালের ভারতীয় দূতাবাস। সীমান্তে বাড়নো হয়েছে নজরদারি।

Updated By: Sep 21, 2015, 02:53 PM IST
 নতুন সংবিধান ঘিরে উত্তপ্ত নেপাল, তরাই অঞ্চলে বিক্ষোভকারীদের মিছিলে পুলিসের লাঠি, বাড়ছে উত্তেজনা

ওয়েব ডেস্ক: নতুন সংবিধান ঘিরে অশান্ত নেপাল। তরাই অঞ্চলে প্রতিবাদীদের মিছিলে পুলিসের লাঠি চালানোয় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে। ভারতে অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে সতর্ক করেছে নেপালের ভারতীয় দূতাবাস। সীমান্তে বাড়নো হয়েছে নজরদারি।

রবিবারই নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের কপিতে সই করেন প্রেসিডেন্ট রামবরণ যাদব। কিছুদিন আগেই নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণার দাবি খারিজ করে দেয় গণপরিষদ। দেশের নাগরিকদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু, এই যুক্তিতে নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবি ওঠে। কিন্তু হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষিত না হওয়ায় একটি গোষ্ঠীর বিক্ষোভে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাঠমাণ্ডু। সংঘর্ষে মৃত্যুও হয় বেশকয়েকজনের। গোটা কাঠমাণ্ডুকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। সমস্যা মেটাতে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা।

ইতিহাসের নয়া অধ্যায়। রবিবার নিজেদের সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রকাশ্যে আনল নেপাল। সে দেশের গণতান্ত্রিক ধর্ম নিরপেক্ষ পার্লামেন্টের ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট রাম বরণ যাদব। যদিও সংবিধানের বিরোধীতায় উত্তাল হিমালয়ের কোল ঘেঁষা সে দেশের তরাই অঞ্চল। 

যৌনতার নিরিখে সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও অনন্য ভূমিকা নিল নেপাল। সমকামী, রূপান্তরকামীদের সাংবিধানিক অধিকার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল।

যদিও এই সংবিধানের দেশব্যাপী গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। উত্তরপ্রদেশ ও বিহার সংলঘ্ন নেপালের তরাই অঞ্চলে এখনও সাত প্রভিন্সের ফেডেরাল স্ট্রাকচারের দাবিতে অনড়। 

নয়া দিল্লির তরফে জানানো হয়েছে নেপাল সরকারের উচিত আলোচনার মাধ্যমেই কোনও রকম হিংসা ও অশান্তির মোকাবিলা করা। ভারতের মতই নেপালের সংবিধানেও নমনীয়তা প্রয়োজন। তবে নমনীয়তার সঙ্গেই দেশের নেপালের উন্নয়ন, সংহতি, অগ্রগতির জন্য মজবুত সংবিধানও আবশ্যক বলে মত নেপালের।  

নেপালের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন এই সংবিধান সবার অধিকার বজায় রাখবে। দেশের বেচিত্রের মধ্যেই ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে। নেপালের ৬০১ জনের সংসদে ৮১% সদস্যই দ্বিকক্ষ সংসদের পক্ষে মত দিয়েছেন। 

সংবিধানে ৩৭টি ভাগ, ৩০৪টি ধারা ও ৭টি অ্যানেক্সেস রয়েছে। এক বছরের মধ্যে সাতটি প্রভিন্স নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নেপাল। 

.