টেন্ডার ডাকার পথেই হাঁটল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ

যাবতীয় জল্পনা শেষ। মুখরক্ষা করতে শেষমেশ টেন্ডার ডাকার পথেই হাঁটল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। প্রথমে জমিজট, পরে টাকার অভাব। ফলে প্রায় পাঁচ বছর থমকে ছিল চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ।আর তা নিয়ে চরমে ওঠে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত।দুহাজার দশে চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।

Updated By: Nov 20, 2015, 09:35 PM IST
 টেন্ডার ডাকার পথেই হাঁটল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ

ওয়েব ডেস্ক: যাবতীয় জল্পনা শেষ। মুখরক্ষা করতে শেষমেশ টেন্ডার ডাকার পথেই হাঁটল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। প্রথমে জমিজট, পরে টাকার অভাব। ফলে প্রায় পাঁচ বছর থমকে ছিল চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ।আর তা নিয়ে চরমে ওঠে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত।দুহাজার দশে চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।
বারাসত থেকে ডালখোলা পর্যন্ত পাঁচটি পর্যায়ে কাজ ভাগ করা হয়। টেন্ডার ডেকে তিনটি সংস্থাকে রাস্তা তৈরির দায়িত্ব দেয় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। ঠিক হয়,
বারাসত থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত কাজ করবে মধুবন কনস্ট্রাকশন। কৃষ্ণনগর থেকে বহরমপুর পর্যন্ত কাজ করবে এস ই ডব্লু ইনফ্রাস্ট্রাকচার। বাকি তিনটি পর্যায়ে কাজ করবে এইচ সি সি সংস্থা।
তিনটি সংস্থাই কাজ শুরু করে। কিন্তু শুরুতেই জমিজটে থমকে যায় কাজ। দুহাজার এগারোয় রাজ্যে পালাবদলের পরেও সমস্যা মেটেনি। দুহাজার তেরো থেকে জমি অধিগ্রহণ শুরু করে রাজ্য। তখন জমি হাতে পেয়েও টাকার অভাবে কাজ শুরু করতে পারেনি নির্মাণ সংস্থা। ফলে রাস্তা সম্প্রসারণ তো দূরঅস্ত, উল্টে রাস্তার বেহাল দশায় যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় সাধারণ মানুষকে। শুরু হয় দোষারোপ। জমি না দেওয়ায় রাজ্যের সমালোচনা করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তাদের পাল্টা দোষারোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। এমনকী অবিলম্বে রাস্তার কাজ শুরু করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের চাপে শেষমেশ নতুন করে টেন্ডার ডাকতে বাধ্য হল কেন্দ্র।
প্রথমে কৃষ্ণনগর থেকে বহরমপুর পর্যন্ত কাজের জন্যই এই টেন্ডার ডাকা হয়েছে।তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত পুরনো নির্মাণ সংস্থা আদৌ মেনে নেয় কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকছে।

.