রাজ্য জুড়ে আক্রান্ত সিপিআইএম কর্মীরা

একইসঙ্গে সিপিআইএম কর্মী ও সমর্থকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটল রাজ্যের একাধিক জেলায়। হুগলির গোঘাটে সিপিআইএম পঞ্চায়েত প্রধানকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরে সালিশী সভা ডেকে এক সিপিআইএম কর্মী ও তাঁর বাবাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই জেলার কেশপুরের ইছাইপুরে এক সিপিআইএম কর্মীর ওপর জোরজুলুমের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

Updated By: Oct 31, 2012, 09:31 PM IST

একইসঙ্গে সিপিআইএম কর্মী ও সমর্থকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটল রাজ্যের একাধিক জেলায়। হুগলির গোঘাটে সিপিআইএম পঞ্চায়েত প্রধানকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরে সালিশী সভা ডেকে এক সিপিআইএম কর্মী ও তাঁর বাবাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই জেলার কেশপুরের ইছাইপুরে এক সিপিআইএম কর্মীর ওপর জোরজুলুমের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বর্ধমানের আউশ গ্রামের পঞ্চমহলী গ্রামে সিপিআইএম-তৃণমূল সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ছ`জন।
হুগলির গোঘাটের ঘটনায় দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বদনগঞ্জে ফলুই ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়ের প্রধান অশোক সাঁতরা। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। তাঁকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অশোকবাবুর দাবি, চিকিত্‍সার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময়ও বাধা দেওয়া হয়। পুলিস গিয়ে শেষপর্যন্ত তাঁকে উদ্ধার করে। কামারপুকুর হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন রয়েছেন ওই সিপিআইএম নেতা। যদিও ঘটনার সঙ্গে দলের কর্মীদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরিকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে তৃণমূল কর্মীরা তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অশোকবাবু।   
অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরে সিপিআইএমের কাশীচক শাখা কমিটির সম্পাদক বিজয় বেরা ও তাঁর বাবাকে মারধরের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে দু`জনকেই।   
 
পশ্চিম মেদিনীপুরেই কেশপুরের ইছাইপুরে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে অশান্তি চলছে। এক সিপিআইএম কর্মীকে তাঁর জমির ধান কাটতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে  তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে বংশপরম্পরায় এই জমি চাষ করছে শেখ আনোয়ার আলির পরিবার। ১০ বিঘা জমির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল তাঁরা। এই অবস্থায় জমির ধান কাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুরাবস্থায় পড়েছেন তাঁরা। সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার জন্য চাপ দিতেই এই পথ বেছে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।  

 

.