ফের রাজ্যে অনাহারে, অর্ধাহারে মৃত্যুর ঘটনা

গত ৬ মাসে জলপাইগুড়ির ঢেকলাপাড়া চা বাগানের ৯ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে অনাহার বা অপুষ্টিজনিত কারণে। একই কারণে অসুস্থ বেশ কয়েকজন। বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের ভাতার ব্যবস্থা করেছিল পূর্বতন সরকার। কিন্তু সম্প্রতি সেই ভাতা অনিয়মিত হয়ে পড়েছে।

Updated By: Jan 20, 2012, 03:49 PM IST

গত ৬ মাসে জলপাইগুড়ির ঢেকলাপাড়া চা বাগানের ৯ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে অনাহার বা অপুষ্টিজনিত কারণে। একই কারণে অসুস্থ বেশ কয়েকজন। বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের ভাতার ব্যবস্থা করেছিল পূর্বতন সরকার। কিন্তু সম্প্রতি সেই ভাতা অনিয়মিত হয়ে পড়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে মুছে যায়নি আমলাশোল। বেশ কয়েক বছর আগে আমলাশোলে অনাহারে এক আদিবাসীর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। জঙ্গলমহল সহ নানা পিছিয়ে পড়া এলাকায় অধিবাসীদের দুবেলা দুমুঠো খাবার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছিল তত্কালীন বাম সরকার। তারপর অনেক দিন অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি রাজ্যে। অর্ধাহার, অপুষ্টিতে মৃত্যু হলেই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
 
নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে জঙ্গলমহলে অর্ধাহার ঘোচাতে উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু ব্রাত্য রাজ্যের অন্যান্য পিছিয়ে পড়া এলাকা। জলপাইগুড়ির আলিপুরদুয়ার মহকুমার ঢেকলাপাড়া চা বাগান এলাকায় গত ৬ মাসে ৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে অনাহারে, অর্ধাহারে। ২০০৫ সাল থেকে বন্ধ চাবাগানটি। বাগানের দেড় হাজার স্থায়ী অস্থায়ী শ্রমিকদের ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে সেই ভাতা নিয়মিত পাচ্ছে না পরিবারগুলি। ফলে অনাহার, অর্ধাহারে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা।
 
৭ জনের মৃত্যু ছাড়াও অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছেন আরও ১৫ জন। মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।
 
বিপিএল কার্ড দেওয়ার কাজ শুরু করতে তো বেশি কিছুদিন সময় লাগবে। ততদিন কি অনাহার, অর্ধাহারেই থাকবেন চা বাগানের শ্রমিকরা?

.