বক্সায় বাড়ছে আন্তঃরাজ্য চোরা শিকারীদের উপদ্রব, নিহত হাতির দেহের গুলি দেখে নিশ্চিত বন দফতর

বক্সার জঙ্গলে হাতির দাঁত-সহ মাথার একটি অংশ কেটে নিয়ে গেল চোরা শিকারীরা। গতকাল দক্ষিণ দমনপুর রেঞ্জের জঙ্গল থেকে হাতিটির ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যে ভাবে হাতিটিকে মারা হয়েছে, তাতে সন্দেহ করা হচ্ছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে সক্রিয় আন্তঃরাজ্য চোরা শিকারীরাই এ কাজ করেছে। চোরা শিকারীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বনদফতর। তদন্তে সিআইডির সাহায্যও চাওয়া হতে পারে।

Updated By: Mar 23, 2014, 07:24 PM IST

বক্সার জঙ্গলে হাতির দাঁত-সহ মাথার একটি অংশ কেটে নিয়ে গেল চোরা শিকারীরা। গতকাল দক্ষিণ দমনপুর রেঞ্জের জঙ্গল থেকে হাতিটির ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যে ভাবে হাতিটিকে মারা হয়েছে, তাতে সন্দেহ করা হচ্ছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে সক্রিয় আন্তঃরাজ্য চোরা শিকারীরাই এ কাজ করেছে। চোরা শিকারীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বনদফতর। তদন্তে সিআইডির সাহায্যও চাওয়া হতে পারে।

ফের বক্সার জঙ্গলে চোরা শিকারীর হানা। শনিবার দক্ষিণ দমনপুর রেঞ্জের গরম বিটের আট নম্বর কম্পার্টমেন্ট থেকে পূর্ণবয়স্ক এই দাঁতাল হাতিটির দেহ উদ্ধার হয়। দেখা যায় , তার দাঁত-সহ মাথার সামনের অংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তে হাতিটির দেহে একটি বুলেটও পাওয়া গিয়েছে। আর সেই সূত্র থেকেই চোরা শিকারের বিষয়ে নিশ্চিত বনদফতর।

চোরা শিকারী এবং হাতির দাঁতের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বনদফতর।তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বন মন্ত্রী। অন্যদিকে, হাতিটির ময়না তদন্তের পর সামনে এসেছে আরও কিছু চাঞ্চল্যক তথ্য

শিকার পদ্ধতি-ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছে, হাতিটির হৃদপিণ্ড লক্ষ করে গুলি করা হয়েছিল। আর এইভাবে হাতিটিকে মারার পিছনে যে প্রশিক্ষিত চোরাশিকারীরা রয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত বনদফতর।

বুলেটের ধরন- বুলেটের ধরন থেকে বন দফতরের অনুমান, উত্তর-পূর্ব ভারতে সক্রিয় আন্তঃরাজ্য চোরাশিকারীদের চক্রই এই কাজে যুক্ত। কারণ, হাতিটিকে মারার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল দেশি কার্তুজ। কার্তুজটির পিছনে একটি বাঁশের চ্যাপ্টা অংশ রয়েছে। সাধারণত, উত্তর-পূর্বের চোরা শিকারীরাই এই ধরনের কার্তুজ ব্যবহার করে থাকেন।

এই সব সূত্র থেকে বন দফতরের ধারণা, বক্সার জঙ্গল এবং অসম সীমান্তে সক্রিয় চোরা শিকারীরাই এই ধরনের অবৈধ হামলা এবং শিকারের কাজে যুক্ত।

গত দেড় বছরে ঠিক একই কায়দায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলে চোরা শিকারীদের নিশানা হয়েছে চারটি হাতি। তার মধ্যে তিনটি হাতিকে মারা হয়েছে বক্সার জঙ্গলে। একটি হাতি শিকার হয় কালিম্পংয়ের কাছে। গত এপ্রিলেও একই ভাবে বক্সার জঙ্গলে মারা হয়েছিল আরও একটি হাতিকে।সন্দেহ করা হচ্ছে, উত্তর-পূর্ব ভারতে সক্রিয় আন্তঃরাজ্য চোরাশিকারীরাই বারবার হানা দিচ্ছে উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে।

.