একশো বছরের প্রাচীন এই বাড়ি ভূতের!

মনের ভুল, নাকি সত্যি? রাতভর হাড়হিম করা শব্দে ঘুম ছুটেছে বসিরহাটের শতবর্ষ প্রাচীন সাধুবাড়ির বাসিন্দাদের। পুলিস ডেকেও সমাধান মেলেনি। উল্টে আতঙ্কে ঘটনাস্থল ছেড়েছে পুলিস। পুজোআচ্চা করেও শব্দ থামেনি। ভুত নাকি অন্য কিছু?

Updated By: Jun 28, 2016, 08:47 PM IST

ওয়েব ডেস্ক : মনের ভুল, নাকি সত্যি? রাতভর হাড়হিম করা শব্দে ঘুম ছুটেছে বসিরহাটের শতবর্ষ প্রাচীন সাধুবাড়ির বাসিন্দাদের। পুলিস ডেকেও সমাধান মেলেনি। উল্টে আতঙ্কে ঘটনাস্থল ছেড়েছে পুলিস। পুজোআচ্চা করেও শব্দ থামেনি। ভুত নাকি অন্য কিছু?

কখনও ঝুমুরের আওয়াজ। আবার কখনও পশুর কান্না। কখনও কখনও হাড় হিম করা বিকট শব্দ। গত এক সপ্তাহ ধরে এমনই উপদ্রব শুরু হয়েছে এই বাড়িতে। আর তাই রাত বাড়লে আতঙ্কের চাদরে মুড়ে যাচ্ছে উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটের ইটিন্ডা রোডের পাশে হরেন্দ্রনাথ সাধুর বাড়ি। তবে বাসিন্দাদের কাছে সাধু বাড়ি বর্তমানে ভুতের বাড়ি।

একশো বছরের প্রাচীন এই বাড়ি ঘিরে রহস্য অনেক। গত কয়েক বছরে এই বাড়ির তিন সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। দোতলা এই বাড়িতে সাধু পরিবারের বড় ছেলে দেবেশ সাধু সপরিবারে থাকেন। ভাড়া থাকে আরও তিনটি পরিবার । আজব কাণ্ডকারখানায় বাড়িতে বাস করাই এখন দায়।

শেষমেষ পুলিসের দ্বারস্থ হয় পরিবার। কিন্তু তাতে কি? বাসিন্দাদের আতঙ্কমুক্ত করা তো দূর অস্ত, ভিতরের ভয়ঙ্কর শব্দ শুনে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান পুলিসকর্মীরা। সহকর্মীদের কাছ থেকে সব কথা শুনে শব্দের উত্সস্থল খুঁজতে রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ সাধু বাড়িতে পুলিস পাঠান বসিরহাট থানার আই সি। কিন্তু তাতেও হয়নি রহস্যভেদ।

দেব-দেবীর ছবি টাঙিয়ে-পুলিসের দ্বারস্থ হয়েও রেহাই মিলছে না। অগত্যা, অজানা আতঙ্ককে সঙ্গী করেই নিদ্রাহীন রাত কাটছে সাধুবাড়ির বাসিন্দাদের।

.