রাজ্যবাসীকে আর্সেনিক মুক্ত জল খাওয়াতে সুইডেনের সঙ্গে গাঁটছড়া সরকারের

বছর পাঁচেকের মধ্যে রাজ্যের মানুষকে আর্সেনিক মুক্ত মিষ্টি জল খাওয়াতে এবার সুইডেনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে সরকার। ভিসন টোয়েন্টি টোয়েন্টি নামের এই প্রকল্পে প্রতিদিন মাথাপিছু সত্তর লিটার করে জল দেওয়া হবে। এর জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে একুশ হাজার কোটি টাকা। জাপানি সংস্থা জায়কার থেকে এর জন্য ঋণ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এছাড়া প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের থেকেও টাকা মিলছে। কাজ শুরু হবে আগামী মাসে।   রাজ্যের মানুষকে আর্সেনিকমুক্ত জল দিতে স্টকহোমের KTH রয়েল ইনস্টিটিউটের সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করল রাজ্য। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, আর্সেনিক নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি পরিশুদ্ধ পানীয় জল দিতে বিভিন্ন দেশে কাজ করে চলেছে এই সংস্থা। সে কারণেই এঁদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে রাজ্য। সঙ্গে রয়েছে ইউনিসেফও।

Updated By: Nov 6, 2014, 03:44 PM IST
রাজ্যবাসীকে আর্সেনিক মুক্ত জল খাওয়াতে সুইডেনের সঙ্গে গাঁটছড়া সরকারের

ব্যুরো: বছর পাঁচেকের মধ্যে রাজ্যের মানুষকে আর্সেনিক মুক্ত মিষ্টি জল খাওয়াতে এবার সুইডেনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে সরকার। ভিসন টোয়েন্টি টোয়েন্টি নামের এই প্রকল্পে প্রতিদিন মাথাপিছু সত্তর লিটার করে জল দেওয়া হবে। এর জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে একুশ হাজার কোটি টাকা। জাপানি সংস্থা জায়কার থেকে এর জন্য ঋণ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এছাড়া প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের থেকেও টাকা মিলছে। কাজ শুরু হবে আগামী মাসে।   রাজ্যের মানুষকে আর্সেনিকমুক্ত জল দিতে স্টকহোমের KTH রয়েল ইনস্টিটিউটের সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করল রাজ্য। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, আর্সেনিক নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি পরিশুদ্ধ পানীয় জল দিতে বিভিন্ন দেশে কাজ করে চলেছে এই সংস্থা। সে কারণেই এঁদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে রাজ্য। সঙ্গে রয়েছে ইউনিসেফও।

আগামী মাসেই রাজ্যে তিরাশিটি আর্সেনিক কবলিত ব্লকে কাজ শুরু করে দিচ্ছে সুইডেনের ওই সংস্থা। প্রথম ধাপে সাধারণ মানুষ এলং কলের কারিগরদের আর্সেনিক চিনতে সাহায্য করবেন বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে টিউব ওয়েলের প্ল্যাটফর্মের রঙ, বালির ও মাটির চরিত্র দেখেই জলে আর্সেনিক রয়েছে কিনা তা অনায়াসেই বোঝা যাবে।

দ্বিতীয় ধাপে জলকে আর্সেনিক মুক্ত করার কাজ শুরু হবে। যন্ত্রের সাহায্যে মাটির নীচে পাঠানো হবে অক্সিজেন। আর তাতেই রসায়নিক বিক্রিয়ায় মাটির নীচেই থিতিয়ে যাবে  আর্সেনিক। কলের মুখে বসানো হবে ছাঁকনি।

তৃতীয় ধাপে প্রত্যেক বাড়িতে টিউব ওয়েল এবং পাইপ লাইনের মাধ্যমে পৌছে দেওয়া হবে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল।

বাংলাদেশে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহ করার কাজে সাফল্য পেয়েছে এই সংস্থা। এবার আর্সেনিককে ধুয়ে ফেলতে তাঁদের টার্গেট এ রাজ্য।

 

.