জলপাইগুড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তে এনআইএ, ২৪ ঘণ্টা পরেও গ্রেফতার হয়নি কেউ, দায় স্বীকার কেএলওর

জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে সাইকেল বোমা বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। আহত অন্তত ন`জন। তাঁদের মধ্যে আট জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত কাল সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পাহাড়পুরের বাজরাপাড়া সেতু। কালই ছিল কেএলও-র শহিদ দিবস। কড়া পুলিসি নজরদারি সত্ত্বেও কী করে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Updated By: Dec 27, 2013, 08:08 PM IST

জলপাইগুড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডের পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। বিস্ফোরণের পিছনে কাদের হাত রয়েছে, তাও এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্তের স্বার্থে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিস। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছে ফরেনসিক দলও।

জলপাইগুড়ি শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটারের ব্যবধানে শক্তিশালী বিস্ফোরণের আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়ছে না বাসিন্দাদের। শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরণস্থলে পৌছয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-র তদন্তকারী দল। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি আশেপাশে বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে একপ্রস্থ তদন্ত চালায় সিআইডি। সঙ্গে ছিলেন আইবি-র গোয়েন্দারা। ছিল বম্ব স্কোয়াডও। সেতুর আশপাশে আরও বিস্ফোরক থাকতে পারে, এই আশঙ্কায় বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা সকাল থেকে দফায় দফায় তল্লাসি চালান। শুক্রবার ঘটনাস্থলে যান সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম।

সুব্রত মুখার্জি এবং গৌতম দেব, রাজ্য মন্ত্রিসভার এই দুই সদস্যও এদিন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করতেও গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব।

পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বিকেলে জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে পুলিস এবং প্রশাসনিক কর্তাদের জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক বসে। দুই মন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন জলপাইগুড়ি ডিভিশনের কমিশনার, আইজি স্পেশাল, জলপাইগুড়ি রেঞ্জ, আইজি উত্তরবঙ্গ সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা। বিস্ফোরণের পরই জলপাইগুড়ি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
এসএসবিকে অসম সীমান্তে নাকাবন্দির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও পাশের জেলা উত্তর দিনাজপুরেও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গাড়িতে চলছে বিশেষ তল্লাসি। বিহার ও বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন থানা গুলিকে সড়ক পথে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

.