কেশপুরে হামলা পরিকল্পিত, অভিযোগ সূর্যকান্তের

কেশপুরে জামশেদ স্মৃতি ভবনে হামলার ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর । বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, তাঁদের দলের কর্মীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ অস্বীকার করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

Updated By: Sep 28, 2011, 11:41 AM IST

কেশপুরে জামশেদ স্মৃতি ভবনে হামলার ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর । বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, তাঁদের দলের কর্মীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ অস্বীকার করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
ওই জেলার নেতা প্রদ্যোত ঘোষের দাবি, জামশিদ ভবনে কোনও হামলা হয়নি। এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁদের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ
ঘটিয়েছেন মাত্র।

গড়বেতা কঙ্কালকাণ্ডে সিপিআইএম নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কেশপুর এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত মোড় নেয়।
সিপিআইএম এলাকায় কার্যত অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে। ঘরছাড়া হন বহু সাধারণ মানুষ। একইসঙ্গে মাথাচাড়া দেয় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।
"বহিরাগত` চিত্ত গড়াই এর সঙ্গে সংঘাত বাঁধে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের। অশান্ত হয়ে ওঠে কেশপুর। বাড়তে থাকে খুন, জখম, বোমাবাজির মত ঘটনা। দুই গোষ্ঠীর সংঘাত চরমে পৌঁছয় সোমবার পঞ্চমী গ্রামের ঘটনায়। কেশপুরের পঞ্চমী গ্রামে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে ঢোকে একদল দুষ্কৃতী। গুলিতে মৃত্যু হয় শেখ সামিয়েত নামের এক যুবকের। শেখ সামিয়েতের মৃত্যুর পেছনে সিপিআইএমের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে সিপিআইএমের বক্তব্য, দলের চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ধামাচাপা দিতেই মঙ্গলবার পরিকল্পিতভাবে জামশেদ ভবনে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

.