গনির দুর্গে কৃষ্ণেন্দুর জয়ের জোড়া ফুল, শরিকি বিবাদের আবহ তৈরি

কংগ্রেস তিনে। তবু নিজের খাসতালুকে জিতলেন প্রয়াত এবিএ গনিখান চৌধুরী। ইংরেজবাজারে বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতলেন গনিখানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ২০১১ ভোটে যিনি জিতেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে। আর এবার জিতলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে। মাঝের সময়টায় দল বদলে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ এখন রাজ্যের মন্ত্রীও।

Updated By: Feb 28, 2013, 04:07 PM IST

কংগ্রেস তিনে। তবু নিজের খাসতালুকে জিতলেন প্রয়াত এবিএ গনিখান চৌধুরী। ইংরেজবাজারে বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতলেন গনিখানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ২০১১ বিধানসভার নির্বাচনে যিনি জিতেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে। আর এবার জিতলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে। মাঝের সময়টায় দল বদলে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ এখন রাজ্যের মন্ত্রীও।
২০১১ বিধানসভা ভোটে ইংরেজবাজার কেন্দ্রে জিতেছিলেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ভোট পেয়েছিলেন ৮৯,৪২১। প্রাপ্ত ভোটের হার ৫১.৭৯ শতাংশ। ২০১৩ উপনির্বাচনেও জিতলেন সেই কৃষ্ণেন্দুই। ভোট পেলেন ৭০,৭৯১টি ভোট। আগের বার কৃষ্ণেন্দু ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। এখন তিনি তৃণমূলে। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে ৬৭,৫৯২টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইএমের সমরেন্দ্র রায়। এবারও সিপিআইএম প্রার্থী কৌশিক মিশ্র পেলেন দ্বিতীয় স্থান। পেয়েছেন ৫০,৩৩৯টি ভোট। আর গনিখানের খাসতালুকে তৃতীয় স্থানে কংগ্রেসের নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। এটাই কংগ্রেসের কাছে বড়সড় ধাক্কা। কারণ এই কেন্দ্রের ভিতরেই যে কোতুয়ালি ভবন।
মালদার `বুড়াবাবা` প্রয়াত কংগ্রেস নেতা এবিএ গনিখান চৌধুরীর বাসভবন কোতুয়ালি ভবন। একসময় মালদা ছিল গনিখান চৌধুরীর খাসতালুক। আর এখন গনি খানের বাসভবনের বিধানসভা কেন্দ্রেই তিন নম্বরে কংগ্রেস। আর একে গনিখানের হাত ধরে রাজনীতির অ-আ-ক-খ শেখা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণেন্দুকে মন্ত্রী করার আশ্বাস দেন। তারপরেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসে মন্ত্রী হয়ে যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ, রেজিনগরের হুমায়ুন কবীরের মতোই। উপনিব্রাচনে হুমায়ুন হেরে গেলেন। কিন্তু কৃষ্ণেন্দু জিতলেন।
কৃষ্ণেন্দু বুঝিয়ে দিলেন গনিখানের দুই ভাই নন, কোতুয়ালি ভবনের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী তিনিই। মা হওয়ায় আপাতত বিশ্রামে কংগ্রেস সাংসদ, গনিখানের ভাগ্নি মৌসম বেনজির নূর।  গনিখানের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারের পতাকাটা কৃষ্ণেন্দুর হাত থেকে মৌসম কেড়ে নিতে পারেন কিনা, ভবিষ্যতই তার জবাব দেবে। 

.