মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারে ব্রাত্য পরিবর্তনের দুই মাইলফলক

পরিবর্তনের মাইলফলককেই কি ভুলে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ? পঞ্চায়েতের প্রচারে দক্ষিণবঙ্গ চষে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার কর্মসূচি থেকে ব্রাত্য রাজ্যে পালাবদলের আঁতুড়ঘর সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম। তবে হুগলির বহু জায়গায় সভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে নন্দীগ্রাম দূরে থাক, পূর্ব মেদিনীপুরেই গেলেন না তৃণমূল নেত্রী। 

Updated By: Jul 14, 2013, 11:16 AM IST

পরিবর্তনের মাইলফলককেই কি ভুলে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ? পঞ্চায়েতের প্রচারে দক্ষিণবঙ্গ চষে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার কর্মসূচি থেকে ব্রাত্য রাজ্যে পালাবদলের আঁতুড়ঘর সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম। তবে হুগলির বহু জায়গায় সভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে নন্দীগ্রাম দূরে থাক, পূর্ব মেদিনীপুরেই গেলেন না তৃণমূল নেত্রী। 
 
তখন তিনি বিরোধী নেত্রী বারবার যেতেন সিঙ্গুরে। বছরখানেক আগে একই ছবি দেখা যেত নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রেও।
রাজ্যে পালাবদলের ক্ষেত্রে সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রাম ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তুরুপের তাস। আগামী পনেরোই জুলাই সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত ভোট। শনিবারই শেষ হয়েছে প্রচার। একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে জনসভা করলেও সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামে গেলেন না মুখ্যমন্ত্রী।
 
মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারের তালিকা থেকে কেন বাদ গেল তাঁর পছন্দের সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম । তৃণমূলের অন্দরমহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।
 
ক্ষমতায় আসার পরেই সিঙ্গুর আইন পাস করিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এই আইন এখনও আদালতের বিচারাধীন। ফলে সরকারের প্রতিশ্রুতি মতো জমি ফেরত পাননি অনিচ্ছুকরা। ক্ষোভে ফুঁসছে সিঙ্গুর।
 
এই কৃষকদের মুখোমুখি হতে চাননা বলেই কি মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারের তালিকা থেকে বাদ গেল সিঙ্গুর। জল্পনা তুঙ্গে।
 
নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রে কারণটা একটু হলেও ভিন্ন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়  মুকুল রায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর লড়াই এখন প্রকাশ্যে। গোটা জেলাতেই নির্দল প্রার্থীর তকমা নিয়ে ভোটে লড়ছেন মুকুল ঘনিষ্ঠ বহু তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
 
প্রার্থীদের ৮০ শতাংশই শুভেন্দু অনুগামী। রাজনৈতিক মহলে চর্চা, পূর্ব মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী সভা করতে গেলে মুকুল অনুগামীদের ভোট না দেওয়ার কথা বলতেই হত তাঁকে। সেকারণেই কি একবারের জন্যও পা রাখলেন না পরিবর্তনের আঁতুড়ঘরে।

.