`ও আমার মেয়ে`

বত্রিশ বছর আগের একটি সাদা কালো ছবি। আর সেই ছবির সূত্র ধরেই নিজের মেয়েকে চিনতে পারলেন মা। না কোনও সিনেমার গল্প নয়। মর্মস্পর্শী এই ঘটনার স্বাক্ষী নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা সাধনা দেবনাথ। সেই নিখোঁজ মেয়ের ঠিকানা এখন সুইজারল্যান্ডে জুরিখ। কিন্তু তাতে কী? এখনও নিজের মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আশায় বসে রয়েছেন প্রৌঢ়া মা।  

Updated By: Aug 10, 2013, 09:30 PM IST

বত্রিশ বছর আগের একটি সাদা কালো ছবি। আর সেই ছবির সূত্র ধরেই নিজের মেয়েকে চিনতে পারলেন মা। না কোনও সিনেমার গল্প নয়। মর্মস্পর্শী এই ঘটনার স্বাক্ষী নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা সাধনা দেবনাথ। সেই নিখোঁজ মেয়ের ঠিকানা এখন সুইজারল্যান্ডে জুরিখ। কিন্তু তাতে কী? এখনও নিজের মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আশায় বসে রয়েছেন প্রৌঢ়া মা।  
নদিয়ার হরিণঘাটার নগরউখরা গ্রামের বাসিন্দা সাধনা দেবনাথ। খুব অল্প বয়সেই স্বামীকে হারিয়েছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর অভাবের সংসারে কী করে মেয়ে সোনাকে বড় করবেন সেই চিন্তা চেপে বসেছিল সাধনাদেবীর মনে। অবশেষে বারাকপুরে দিদি কমলা নাথের কাছে রেখে এসেছিলেন মাত্র ২১ দিনের সোনাকে। এরপর কেটে গেছে ৩২ বছর। হঠাতই  সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে  ছোট্ট মেয়ের ছবি দেখে  চিনতে পারেন সাধনা দেবী। সেই চোখ, সেই মুখ। দিদির কাছে রেখে আসা নিজের  মেয়েকে চিনতে অসুবিধে হয়নি মায়ের।
 
সাধনাদেবীর সেই মেয়ের ঠিকানা এখন সুইজারল্যান্ডের জুরিখ। বিয়ের পর দিব্যি ঘর সংসার করছেন তিনি। কিন্তু কী করে সাধনা দেবীর ছোট্ট মেয়ের ঠিকানা হল জুরিখ?  সাধনাদেবীর দাবি, দিদি কমলানাথ একরত্তি মেয়েটিকে একটি হোমে রেখে এসেছিলেন। সেখান থেকেই মেয়েটিকে দত্তক নেয় সুইস দম্পতি।
 
অভাবের সংসার। কিন্তু এতদিন পর মেয়ের খোঁজ পেয়ে আর স্থির থাকতে পারছেন না সাধনা দেবনাথ। চাইছেন যেকোনও উপায়ে মেয়েকে ফিরে পেতে।
 
হারানো মায়ের খোঁজে ইতিমধ্যেই কলকাতা ঘুরে গেছেন জুরিখের সোনা। কিন্তু মায়ের সন্ধান মেলেনি। সংবাদমাধ্যমের হাত ধরেই মা-মেয়ের মিলন ঘটবে। এই আশাতেই বুক বাঁধছেন সাধনা।

.