নন্দীগ্রামে পরিবর্তনের কাণ্ডারীদের গলায় ফের পরিবর্তনের ডাক

২০১১ সালে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল নন্দীগ্রামের। কিন্তু সেই নন্দীগ্রামেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি নির্দল প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নন্দীগ্রামেরই এক ও দু`নম্বর ব্লকে। বই, কোদাল, লাঙল, জোড়াপাতা প্রতীকে দাঁড়ানো এই নির্দল প্রার্থীরা এলাকায় অনুন্নয়ন, আর্থিক দুর্নীতিসহ একাধিক অভিযোগ তুলেছেন বিগত পঞ্চায়েতের  জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।   

Updated By: Jul 9, 2013, 11:22 AM IST

২০১১ সালে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল নন্দীগ্রামের। কিন্তু সেই নন্দীগ্রামেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি নির্দল প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নন্দীগ্রামেরই এক ও দু`নম্বর ব্লকে। বই, কোদাল, লাঙল, জোড়াপাতা প্রতীকে দাঁড়ানো এই নির্দল প্রার্থীরা এলাকায় অনুন্নয়ন, আর্থিক দুর্নীতিসহ একাধিক অভিযোগ তুলেছেন বিগত পঞ্চায়েতের  জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।   
নন্দীগ্রামে পরিবর্তনের কাণ্ডারীরা ফের পরিবর্তন চাইছেন। তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনার পিছনে যে কর্মীদের অবদান ছিল, তাঁরাই আজ  বিক্ষুব্ধ। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই কর্মীদের অনেকেই বই, কোদাল, লাঙলসহ বিভিন্ন প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হল?
নন্দীগ্রাম চার নম্বর অঞ্চলের নির্দল প্রার্থী ইসমাইল খান। সম্পর্কে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা শেখ সুফিয়ানের জামাই তিনি। বই প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নন্দীগ্রাম হাইস্কুলের এই কর্মী। তৃণমূল তাঁকে টিকিট দেয়নি বলে অভিযোগ ইসমাইলের।
 
 
শুধু ইসমাইল খানই নন, নন্দীগ্রাম সাত নম্বর পঞ্চায়েতের নির্দল প্রার্থী অতনু জানাও বিগত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতি আর অনুন্নয়নের অভিযোগ এনেছেন। স্বজনপোষণ ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণেই আসন্ন পঞ্চায়েতে লাঙল প্রতীকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।
  
নন্দীগ্রামে তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি অবশ্য আমল দিতে নারাজ তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। তাঁর মতে কোনও ব্যক্তির ওপর ক্ষোভের কারণে নির্দল প্রার্থী হিসেবে অনেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তৃণমূল কংগ্রেস দলের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ মাথাচাড়া দেয়নি।
  
নন্দীগ্রাম এক ও দুই নম্বর ব্লকে জেলা পরিষদের মোট আসন পাঁচটি। পঞ্চায়েত সমিতিতে আসন পঞ্চাশটি। গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন ২৩১টি। সবক`টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৪০টি আসনে ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে  তৃণমূল। অন্যদিকে, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২০০টি আসনে নির্দল প্রার্থীরা ভোটে লড়ছেন। দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি প্রচারেও তাঁরা সমানভাবে টক্কর দিচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থীদের সঙ্গে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীরা সফল হলে শাসকদলকে বড় চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

.