হাওড়া পুর নির্বাচনে তৃণমূলের তুরুপের তাস স্বচ্ছ ভাবমূর্তির সমাজের প্রতিষ্ঠতরা

হাওড়া পুর নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সমাজের প্রতিষ্ঠিতদের। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরতেই এ সিদ্ধান্ত জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের। দার্জিলিং সফর সেরে ফিরলেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে আলোচনা করবে জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের অন্দরের খবর, শনিবারের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা।

Updated By: Oct 25, 2013, 05:08 PM IST

হাওড়া পুর নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সমাজের প্রতিষ্ঠিতদের। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরতেই এ সিদ্ধান্ত জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের। দার্জিলিং সফর সেরে ফিরলেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে আলোচনা করবে জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের অন্দরের খবর, শনিবারের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা।
হাওড়া পুরসভায় মোট ৫০টি আসন। তৃণমূলের অন্দরের খবর, হাওড়া লোকসভা উপনির্বাচনের নিরীখে তৃণমূল এগিয়ে ৩৭টি আসনেই। জয় নিশ্চিত ধরে নিয়েই তাই পুরনির্বাচনে নামছে দল। সে কারণেই হাওড়া শহরের রাজনৈতিক নেতাদের থেকে সমাজের প্রতিষ্ঠিতদের প্রার্থী করতে চাইছে জেলা নেতৃত্ব।
পুরনির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে-হোমিওপ্যাথি চিকিত্সক রথীন চক্রবর্তী, চিকিত্সক সুজয় চক্রবর্তী, চিকিত্সক মাধবী মুখার্জি, ইঞ্জিনিয়রিং কলেজের প্রিন্সিপাল সোনালি সরকার সহ আরও অনেকের নাম।
 
কেন এমন সিদ্ধান্ত? হাওড়া জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে জেলা সভাপতি অরূপ রায় গোষ্ঠী, অন্যদিকে সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় গোষ্ঠী। লোকসভা উপনির্বাচনের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় গোষ্ঠীর জনপ্রিয়তা তৈরি হলেও, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর কোণঠাসা অবস্থা ছেড়ে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছেন মন্ত্রী অরূপ রায়। পুরনির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় অরূপ রায়ের মতামতকেই প্রাধান্য দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীর্ণ দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই পুরনির্বাচনে সামাজের প্রতিষ্ঠিতদের তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। 
এছাড়াও হাওড়া পুরসভা দখলের ব্যাপারে নিশ্চিত তৃণমূল কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে, ক্ষমতায় এলে পানীয় জল ও নিকাশির ওপর জোর দেবে তাঁরা। তৃণমূলের অন্দরের খবর, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বেই হবে এই কাজ। জেলা নেতৃত্ব মনে করছে এ ক্ষেত্রে পেশাদার ব্যক্তিদের যুক্ত করতে পারলে পুর পরিষেবায় গতি আনা সম্ভব।
 

.