পঞ্চায়েত ভোট হবে বিহার মডেলে

বিহার মডেল অনুসরণ করে প্রথম দফার ভোটকে কয়েক পর্যায়ে ভাঙার ভাবনাও রয়েছে কমিশনের। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েন ইস্যুতে ক্রমশ সংঘাত তীব্র হচ্ছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মধ্যে। বাহিনী নিয়ে ফের রাজ্য সরকারকে চিঠি দিতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের জবাব সন্তোষজনক না হলে পঞ্চায়েত জটিলতার জল গড়াবে বহুদূর। 

Updated By: Jun 15, 2013, 10:29 AM IST

বিহার মডেল অনুসরণ করে প্রথম দফার ভোটকে কয়েক পর্যায়ে ভাঙার ভাবনাও রয়েছে কমিশনের। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েন ইস্যুতে ক্রমশ সংঘাত তীব্র হচ্ছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মধ্যে। বাহিনী নিয়ে ফের রাজ্য সরকারকে চিঠি দিতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের জবাব সন্তোষজনক না হলে পঞ্চায়েত জটিলতার জল গড়াবে বহুদূর। 
শুক্রবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করে ছিলেন আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জিও। কিন্তু সেই বৈঠকেও কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া নিয়ে তেমন কোনও আলোচনা হয়নি বলেই খবর। তাই সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এখনও দীর্ঘসূত্রিতার রাস্তায় হাঁটতে চাইছে রাজ্য সরকার। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দে জানিয়েছেন, রাজ্য যদি বাহিনী চেয়ে নতুন করে আবেদন করে তাহলে কেন্দ্র ফোর্স দিতে রাজি।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে রাজি হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেছে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যের তরফে বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনককে ঘিরে রাজ্যে বেড়েই চলেছে সন্ত্রাস। কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত জিতে নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।
এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন পরিচালনায় যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে কমিশনই। এই অবস্থায় পঞ্চায়েতের রণকৌশল চূড়ান্ত করতে মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আইনমন্ত্রী, পঞ্চায়েতমন্ত্রীসহ শীর্ষস্তরের মন্ত্রীরা । দীর্ঘ বৈঠকের শেষে পঞ্চায়েতমন্ত্রী জানিয়েছেন যথাসময়েই নির্বাচন হবে। এমনিতেই নির্বাচনের অর্ধেক প্রক্রিয়া শেষ। প্রশ্ন হল যে এতদিন পর্যন্ত কেন ফোর্স চাওয়া হল না। মহাকরণ সূত্রের খবর পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার ব্যাপারে তেমন কোনও সরকারি উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বরং ভিনরাজ্য থেকে সশস্ত্র পুলিস এনে ভোট করাতেই বেশি তত্পর ছিল সরকার। কিন্তু আদালতের নির্দেশ রয়েছে ভোট করাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবস্থা করতেই হবে রাজ্যকে। ফলে আদালতের রায় নিয়ে দোটানায় পড়েছে রাজ্য।

কৌশলে মননোয়নপত্র জমার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী না আনতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়ে গেছে। এবার আদালতের নির্দেশে একান্তই চাপের মুখে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতেই হয় তাহলে যতটা দেরি করা আনা যায় সেটাই এখন দেখছে সরকার। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।

.