সোমবারের আগে ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা নেই সুশান্ত ঘোষের

সুপ্রিম কোর্টের জামিনের নির্দেশের প্রতিলিপি মেদিনীপুর আদালতে না পৌঁছনয় সোমবারের আগে ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা নেই সুশান্ত ঘোষের। শনিবারও মেদিনীপুর আদালতে পৌঁছোয়নি সুপ্রিম কোর্টের জামিনের প্রতিলিপি।

Updated By: Feb 1, 2012, 11:51 AM IST

সুপ্রিম কোর্টের জামিনের নির্দেশের প্রতিলিপি মেদিনীপুর আদালতে না পৌঁছনয় সোমবারের আগে ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা নেই সুশান্ত ঘোষের। শনিবারও মেদিনীপুর আদালতে পৌঁছোয়নি সুপ্রিম কোর্টের জামিনের প্রতিলিপি। সেইকারণে সোমবারের আগে বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে ৫ মাসেরও বেশি সময় পুলিস এবং জেল হেফাজতে রয়েছেন সিপিআইএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এসে পৌঁছনর পর মেদিনীপুর জেলা আদালত নির্ধারণ করবে কত টাকার বন্ডে মুক্তি দেওয়া হবে গড়বেতার বিধায়ক সুশান্ত ঘোষকে। সেই মুক্তিপত্রের কাগজ নিয়ে আসা হবে আলিপুর জেলে। সেখানে সুশান্ত ঘোষকে দিয়ে মুক্তিপত্রের কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে ফের তা জমা করতে হবে মেদিনীপুর আদালতে। তারপরেই মিলবে জেল থেকে বেরোনর ছাড়পত্র। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি শনিবারও এসে না পৌঁছোনোয় সোমবারের আগে এই আইনী প্রক্রিয়া সম্পর্ণ করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সোমবার বা মঙ্গলবার তিনি জেল থেকে ছাড়া পেতে পারেন।
শুক্রবার, বিচারপতি আলতামাস কবির এবং জ্ঞানসুধা মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ
শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পেলেও, সুশান্ত ঘোষের গতিবিধির
ওপর শর্ত আরোপ করেছে শীর্ষ আদালত। অঞ্চলের বিধায়ক হওয়ার জন্য গড়বেতা
অঞ্চলে যাওয়ার অনুমতি মিললেও, পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যান্য অঞ্চলে যেতে
পারবেন না তিনি। এছাড়াও, তদন্তকারী অফিসারের কাছে মাসে একবার হাজিরা দিতে
হবে তাঁকে।
২০১১ সালের ৯ই জুন বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডের তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সিআইডিকে। সিআইডির তদন্ত এবং ঘটনার অগ্রগতির ভিত্তিতে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। কলকাতা হাইকোর্ট সেই আবেদন গ্রহণ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে বলে। ২০১১ সালে ১১ অগস্ট মেদিনীপুর আদালতে হাজিরা দেন সুশান্ত ঘোষ। আদালতের নির্দেশে সেইদিনই তাঁকে সিআইডি হেফাজতে পাঠানো হয়। সিআইডি হেফাজতে থাকাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে।
এরই মধ্যে, তাঁর কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ৫ লক্ষ টাকার ভিত্তিতে আলাদাভাবে একটি মামলা দায়ের করে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। ২০১১-র নভেম্বরে আলিপুর আদালতে সেই মামলায় সহজেই জামিন মিলে যায় সুশান্ত ঘোষের। কিন্তু মেদিনীপুর আদালতে বেশ কয়েকবার আবেদন জানানো সত্ত্বেও বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে তাঁর জামিন মেলেনি। পরে, ২৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টেও তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আদালতে বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডের চার্জগঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে।

.