আলিপুরদুয়ারে ধর্ষিত নাবালিকা, অভিযোগ নিতে অস্বীকার পুলিসের

আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ায় নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। এরপর শালিসিসভায় অভিযুক্তকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। আপত্তি জানায় যুবক। শেষে পুলিসের কাছে অভিযোগ জানাতে যান নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিস। পরে পুলিস সুপারের হস্তক্ষেপে  বীরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।

Updated By: Jul 31, 2014, 10:53 AM IST
আলিপুরদুয়ারে ধর্ষিত নাবালিকা, অভিযোগ নিতে অস্বীকার পুলিসের

আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ায় নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। এরপর শালিসিসভায় অভিযুক্তকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। আপত্তি জানায় যুবক। শেষে পুলিসের কাছে অভিযোগ জানাতে যান নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিস। পরে পুলিস সুপারের হস্তক্ষেপে  বীরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।

রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া গ্রামের বাড়িতে একাই রান্না করছিল ওই নাবালিকা। অভিযোগ, সেইসময় তাকে ধর্ষণ করে পেশায় রুটি বেকারি শ্রমিক বাবু মজুমদার।

বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত বাবু মজুমদার। তাই শালিসি সভার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা টুম্পা সাহা। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে শালিসির প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় নাবালিকার পরিবার।

মঙ্গলবার বসে শালিসি। কিন্তু শালিসির প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করে অভিযুক্ত। তখন প্রতিবেশীদের পরামর্শে থানায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নাবালিকার বাবা মা। অভিযোগ, থানায় যাওয়ার কথা বলায় এক প্রতিবেশীকে মারধর করে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী গোপাল দাস।

বুধবার বীরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হয় নাবালিকার পরিবারকে। অভিযোগ না নিয়ে, পাল্টা নাবালিকার বাবা-মায়ের উপরই পাল্টা চাপ সৃষ্টি করে পুলিস। পরে আলিপুর দুয়ারের অতিরিক্ত পুলিস সুপারের হস্তক্ষেপে বীরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। শুরু হয়েছে তদন্ত।

রাতে পুলিস সুপারের নির্দেশে বীরপাড়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসিকে বদলি করে দেওয়া হয়। কেন পুলিস প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি, খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। ঘটনার পর থেকে মূল অভিযুক্ত বাবু মজুমদার ফেরার।

 

 

.