মন লাগে না কাজে...
পুজোর পর পাঠশালায় এক আনমনা ছাত্রের কথা। স্মৃতির বাইনোকুলারে চোখ রাখলে হয়তো পুজোর পর তোমার-আমার ছেলেবেলাটাও এমনই পা দোলানোর। সকালে আলিস্যি। দুপুরটা ফাঁকা। সন্ধেটা মনখারাপের। মা প্যান্ডেল থেকে সি অফ করলে কী হবে? শিউলি সকাল, আর সুনীল আকাশের ছড়ানো মেঘে যে তখনও টাটকা চারদিনের কড়া নেশা। রাস্তা ভরা মাথার সারি, আলোর রোশনাই, হাজার মানুষের কলতান, গ্রাম শহরের ঐক্যবদ্ধ লং মার্চ, সব কি এক নিমেষে হারায়?
"মাষ্টারমশাই পড়িয়ে চলেন পাথুরে কয়লার আদিম কথা। ছেলেটা বেঞ্চিতে বসে পা দোলায়। ছবি দেখে সে আপনমনে ভঞ্জদের পাঁচিল ঘেঁষা আতা গাছের ফলে ভরা ডাল। আর দেখে সে মনে মনে তিসির খেতের ভিতর দিয়ে রাস্তা গেছে এঁকেবেঁকে হাটের পাশে নদীর ধারে।"
এ লেখা আমার নয়। শতাব্দী প্রাচীন এক কবি লিখেছিলেন। পুজোর পর পাঠশালায় এক আনমনা ছাত্রের কথা। স্মৃতির বাইনোকুলারে চোখ রাখলে হয়তো পুজোর পর তোমার-আমার ছেলেবেলাটাও এমনই পা দোলানোর। সকালে আলিস্যি। দুপুরটা ফাঁকা। সন্ধেটা মনখারাপের। মা প্যান্ডেল থেকে সি অফ করলে কী হবে? শিউলি সকাল, আর সুনীল আকাশের ছড়ানো মেঘে যে তখনও টাটকা চারদিনের কড়া নেশা। রাস্তা ভরা মাথার সারি, আলোর রোশনাই, হাজার মানুষের কলতান, গ্রাম শহরের ঐক্যবদ্ধ লং মার্চ, সব কি এক নিমেষে হারায়? দশমীর বিষন্নতা কাটিয়েই একাদশীর বিধবা হই কীভাবে? পুজোতো হয় মনের কোনে। আড়ালে আবডালে। কচিপাতায় সোনারোদের ঝিলিকের মতোই যে তার লুকোচুরি। সে মায়া কি এত সহজে কাটে? সবই যে মহামায়ার খেলা। তার বাইরে যাই কেমনে।
কাছে এল পুজোর ছুটি
রোদ্দুরে লেগেছে চাঁপা ফুলের রঙ
বাতাসে হাওয়া উঠছে শিশিরে শিরশিরিয়ে
শিউলির গন্ধ এসে লাগে।
যেন কার ঠান্ডা হাতের কোমল সেবা
দেখে মন লাগেনা কাজে।
পুনঃ
আমার স্লোগান
-----------
মন না লাগা আনমনারা এক হন।
ক্ষমা করবেন আমি বিপ্লবী নই।
ট্রেড ইউনিয়ন করিনা।
তবে লুকিয়ে লুকিয়ে স্বপ্ন দেখি।
স্বপ্ন দেখি বিপ্লবের। দিনবদলের...
কুশল মিশ্র