নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বজুড়ে অন্তত ১৫৫টি করোনার প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মধ্যে ২৩টি কার্যকর প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। এর মধ্যে তিনটির চূড়ান্ত পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। এ বার শুরু হতে চলেছে করোনার নাজাল ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ইনজেকশনের চেয়েও অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে এই ‘নাজাল ভ্যাকসিন’, এমনই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিমধ্যেই করোনার নাজাল ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে চিন। জানা গিয়েছে, নভেম্বর থেকেই নাজাল ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়ে যাবে। এই ট্রায়ালের জন্য ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক বেছে নেওয়া হবে।


গ্লোবাল টাইমস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিয়ামেন বিশ্ববিদ্যালয়, বেইজিং ওয়ানটাই বায়োলজিক্যাল ফারমেসি ও হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মিলিত ভাবে এই টিকা তৈরি করছেন। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক ইউয়েন কোক-ইউং জানিয়েছেন, এই নাজাল ভ্যাকসিন H1N1, H3N2-এর মতো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে আশা করেছেন তিনি। তাঁর মতে, এই টিকা ইনফ্লুয়েঞ্জা আর করোনাভাইরাস— উভয় ক্ষেত্রেই সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে।


মাস খানেক আগেই নিউ ইয়র্কের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দাবি করেছিলেন, করোনার ক্ষেত্রে ‘নাজাল ভ্যাকসিন’ ইনজেকশনের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে। শুধু তাই নয়, শরীরে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ‘নাজাল ভ্যাকসিন’ সাধারণ ইনজেকশনের তুলনায় দ্রুত কাজ করবে।


আরও পড়ুন: ভারতে কেন স্থগিত হচ্ছে অক্সফোর্ডের করোনা টিকার ট্রায়াল? জানুন কী বলছে DCGI


বিজ্ঞানীদের দাবি, নাকে স্প্রে করে দেওয়া প্রতিষেধক ইনজেকশনের তুলনায় অনেক তাড়াতাড়ি ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। বিজ্ঞানীদের দাবি, ‘নাজাল ভ্যাকসিন’ দ্রুত ‘টি সেল’-এর কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহাযক হতে পারে। ফলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে দ্রুত প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।