নিজস্ব প্রতিবেদন: কিছুদিন আগেই আশার কথা শোনা গিয়েছিল চিনা গবেষকদের থেকে। চিনের পেকিং ইউনিউভার্সিটির একদল গবেষক দাবি করেছেন, এক বিশেষ ওষুধেই নিয়ন্ত্রণে আসবে করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ। চিনা গবেষকদের দাবি, তাঁদের তৈরি এই ওষুধ আক্রান্তের শরীরে ভাইরাল লোড দ্রুত কমানোর পাশাপাশি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাও সাময়িক ভাবে বাড়াতে সাহায্য করবে। এ বার চিনা সংস্থা CanSino Biologics-এর প্রথম করোনা প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সেই ফলাফল অনলাইনেও প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ পত্রিকা ল্যানসেট-এ এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আমফানের ধাক্কা-করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা, ২৬ মে পর্যন্ত শ্রমিক ট্রেন বন্ধ রাখার আর্জি জানাল রাজ্য


ল্যানসেট-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনা সংস্থা CanSino Biologics-এর বিজ্ঞানীরা ১০৮ জন স্বেচ্ছাসেবীকে তিনটি দলে ভাগ করে পরীক্ষা করে দেখেন। একেকটি দলকে একেক রকম ডোজের প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছে। চিনা বিজ্ঞানীদের দাবী, প্রতিষেধক দেওয়ার ২৮ দিন পরেও  ১০৮ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে কোনও রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়ার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে দ্বিতীয় পর্যায় আরও ৫০৮ জনের উপর প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। তার পরই এই প্রতিষেধক সম্পর্কে চূড়ান্ত সিন্ধান্ত নেবেন বিজ্ঞানীরা।


সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়েছে, প্রতিষেধক ছাড়া করোনাভাইরাসকে রোখা প্রায় অসম্ভব! করোনা মোকাবিলায় প্রায় ১০০টি প্রতিষেধকের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। এর মধ্যে ৪টির ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি। এই ৪টি প্রতিষেধকের মধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি টিকার (ChAdOx1 nCoV-19) পরেই উল্লেখযোগ্য ভাবে সাফল্যে দিকে এগোচ্ছে মোদের্না আরএনএ ভ্যাকসিন (Moderna RNA vaccine)।


আরও পড়ুন-লকডাউনে সর্বনাশ! ডার্কওয়েবে ফাঁস হয়ে গেল ২.৯ কোটি ভারতীয়-র একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য


এদিকে চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে নামী ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। করোনার প্রতিষেধক তৈরির দাবি করেছে বিশ্বের অন্যতম সিগারেট প্রস্তুতকারী সংস্থা ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো। সব মিলিয়ে করোনা রুখতে জোর কদমে চেষ্টা চালাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিজ্ঞানীরা। ধাপে ধাপে সাফলের দিকে এগোচ্ছেনও তাঁরা। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসকে ১০০ শতাংশই রুখতে সক্ষম, এমন অ্যান্টিবডির খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা!