আক্রান্ত হওয়ার ১১ দিন পর করোনা রোগী থেকে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে না! দাবি সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞদের

এখনই এ বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়। কারণ, শহরের মাত্র ৭৩ জন আক্রান্তের উপরেই আপাতত এই সমীক্ষা করা হয়েছে

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: May 24, 2020, 04:55 PM IST
আক্রান্ত হওয়ার ১১ দিন পর করোনা রোগী থেকে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে না! দাবি সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞদের

নিজস্ব প্রতিবেদন: কত দিন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের থেকে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে? এই প্রশ্নটা অনেক দিন ধরেই ঘুরছে সাধারণ মানুষ থেকে চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞদের মনে।

সিঙ্গাপুরের একদল বিশেষজ্ঞ দাবি করলেন, ১৪ দিন, ২১ দিন বা ৩৭ দিন নয়, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ১১ দিন পরে রোগীর শরীর থেকে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি আর থাকে না। সিঙ্গাপুরের সংক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞদের এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য!

আরও পড়ুন-পালঘরের পর নানদেদ, মহারাষ্ট্রে আশ্রমের মধ্যেই নৃশংসভাবে খুন ২ সাধু

সম্প্রতি 'সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিস' এবং 'অ্যাকাডেমি অব মেডিসিন'-এর একটি যৌথ গবেষণার ফলে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, করোনা আক্রান্ত রোগীদের শরীর থেকে ১১ দিন পর আর এই ভাইরাস ছড়াতে পারে না। শহরের ৭৩ জন আক্রান্তের উপর এনিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল।

এই তথ্য বা দাবির উপর নির্ভর করে সে দেশের করোনা রোগীদের রোগীদের ডিসচার্জ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা সে নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক, প্রশাসন। বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সিঙ্গাপুরেও করোনা রোগীদের নেগেটিভ রিপোর্টের উপর নির্ভর করেই তাঁদের ডিসচার্জ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কিছুদিন আগে ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে করোনাভাইরাসের ‘ইনকিউবেশন’ পর্ব সম্পর্কিত একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়, আক্রান্তের মধ্যে করোনার উপসর্গ প্রকাশ পাওয়ার দিন থেকে ২০ দিন পরে ভাইরাসের আগ্রাসন ও সংক্রমিত হওয়ার গতি সবচেয়ে কম থাকে। তবে Covid-19 পুরোপুরি নির্মূল হয় সংক্রমিত হওয়ার ৩৭ দিনের মাথায়।

আরও পড়ুন-পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরি করলেন গ্রামবাসীরাই! বাহবা প্রশাসনের

তবে এখনই এ বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়। কারণ, শহরের মাত্র ৭৩ জন আক্রান্তের উপরেই আপাতত এই সমীক্ষা করা হয়েছে। আরও বড় সংখ্যক মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা প্রয়োজন। তবেই এই সংক্রান্ত সঠিক তথ্য সামনে আসতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

.