নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর ২৪ পরগনা জুড়ে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। একাধিক এলাকায় লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। ডেঙ্গির ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে হাবড়া ১, হাবড়া ২, গাইঘাটা, ব্যারাকপুর ২ নং ব্লক। কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গি রুখতে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। নিয়োগ করা হচ্ছে প্রায় ৪৫০ অস্থায়ী কর্মীও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অনেকের মনেই এখন একটা আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে, এই জ্বর কি ঠান্ডা-গরমের ‘ভাইরাল ফিভার’, নাকি ডেঙ্গি! আতঙ্কিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রধানত এডিস ইজিপ্টাই মশা বাহিত এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গই হল জ্বর। কিন্তু ইদানীং অনেক সময়ই ডেঙ্গি আক্রান্তের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, জ্বরে শরীরের তাপমাত্রা সে ভাবে বাড়ছে না। এ দিকে অস্বাভাবিক হারে কমে যাচ্ছে প্লেটলেট কাউন্ট! তাই আগে চিনে নেওয়া যাক, ডেঙ্গির কয়েকটি উপসর্গ...


আরও পড়ুন: আপনি কি খুব রোগা? জেনে নিন চটজলদি ওজন বাড়ানোর কয়েকটি সহজ উপায়


চিনে নিন ডেঙ্গির প্রধান কয়েকটি উপসর্গ:


১) সাধারণ ভাইরাল ফিভারের মতো ডেঙ্গি হলেও গা-হাত-পায়ে মারাত্মক ব্যথা করে। সঙ্গে মাথার যন্ত্রণাও হতে থাকে।


২) ডেঙ্গি জ্বরে অনেকের গা-হাত-পায়ে মারাত্মক ব্যথা করতে থাকে। এই জন্যই ডেঙ্গি জ্বরের আর এক নাম ‘ব্রেক বোন ফিভার’।


৩) ডেঙ্গি জ্বরে শরীরে ব্যথা-বেদনার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের চোখেও খুব ব্যথা করতে পারে।


৪) ডেঙ্গি জ্বরে রক্তে অনুচক্রিকা বা প্লেটলেট কাউন্ট দ্রুত কমে যেতে শুরু করে।


৫) ডেঙ্গি জ্বরে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে।


৬) ডেঙ্গি জ্বরে গলা ব্যথা, জ্বালা আর সর্দি থাকতে পারে।


আরও পড়ুন: অনিদ্রা থেকে অবসাদ বা ক্লান্তি মুহূর্তে কাটিয়ে ফেলুন নুন জলের সাহায্যে!


৭) ডেঙ্গি জ্বরের আর একটি উপসর্গ হল মারাত্মক পেটে ব্যথা আর গা বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া। এর সঙ্গে পেট খারাপও হতে পারে।


৮) ডেঙ্গি জ্বরে নাক, মাড়ি বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তক্ষরণ হতে পারে।


৯) ডেঙ্গি হলে সারা গায়ে, ত্বকের উপর লাল লাল র‍্যাশ দেখা দেয়।


সাধারণ ভাইরাল ফিভারের সঙ্গে ডেঙ্গি জ্বরের বিশেষ একটা ফারাক না থাকলেও ইদানীং যেহেতু এই জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে তাই জ্বর ৪৮ ঘন্টা পেরলেই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে চিকিত্সকের কাছে যান। চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিন। মনে রাখবেন, চিকিতসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাওয়া চলবে না। প্রয়োজনে চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে প্লেটলেট কাউন্ট পরীক্ষা করিয়ে নিন। সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন।