ওয়েব ডেস্ক: শতগুণে সমৃদ্ধ ফল। কমলালেবু সম্পর্কে এই একটাই কথা খাটে। রূপে-গুণে, সুপার ফুড। কমলার কোয়াই হোক বা খোসা, সবেতেই পুষ্টির ভাণ্ডার। রোজ না খেলে, পস্তাতে হবে কিন্তু আপনাকেই! বলে শেষ করা যাবে না, এত গুণ কমলালেবুর। গোলগাল আকার। দেখতে খাসা। পুষ্টিগুণে তার চেয়েও কয়েক কদম এগিয়ে। শীতকাল তো একে ছাড়া, এররকম অন্ধকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভিটামিন সি, এ, ফ্ল্যাভনয়েড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার। কী নেই কমলালেবুতে?


কমলা বা কমলালেবুর রস অত্যন্ত পুষ্টিকর। বেশিরভাগ রোগে পথ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। একজন মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়, তার প্রায় পুরোটাই একটি কমলালেবুতে পাওয়া যায়। মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সিস্টেম মজবুত করে তুলতে অব্যর্থ দাওয়াই।


আরও পড়ুন- রোজ কিশমিশ খেলে কী হবে জানেন?


বিশেষ করে ঠাণ্ডা লাগা, কানের সমস্যা দূর করতে অতি উপযোগী কমলালেবু। কমলায় রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা সেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। লিমোনয়েড নামে এক পদার্থ থাকে কমলালেবুতে যা মুখ, ত্বক, ফুসফুস, স্তন, পাকস্থলীতে ক্যানসার প্রতিরোধে সরাসরি উপযোগী। মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য জরুরি ফলিক অ্যাসিড যথেষ্ট পরিমাণে থাকে কমলালেবুতে।


কমলালেবুতে থাকা ভিটামিন B6 দেহে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়ক। কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক কমলালেবু। কমলা খেলে খিদে বাড়ে, খাওয়ার রুচি বাড়াতেও সাহায্য করে। শরীরে কোলেস্টেরল লেভেল কমাতেও কমলালেবুর জুড়ি মেলা ভার। লিভার কিংবা হার্টের বিভিন্ন রোগে কমলালেবু খাওয়া উপকারী। হাইপারটেনশনের রোগীদের ক্ষেত্রেও কমলা খেলে উপকার অনেক।



শুধু কি ভাবছেন, কমলার কোয়াতেই গুণ শেষ?
এই ফলটি খাওয়ার পর, অনেকেই খোলা ফেলে দেন। কিন্তু না। জেনে রাখুন, সেটা বড় ভুল। কারণ কমলার খোসাতেও গুণের শেষ নেই। কমলার খোসা নানাভাবে রূপচর্চায় অত্যন্ত উপযোগী। স্কিনে ব্ল্যাকহেডস দূর করতে সহায়ক। একেবারে প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে পারে কমলার খোসা। কমলালেবুর তাজা খোসা বেঁটে টুথপেস্টের মতোও ব্যবহার করা যায়।


এমন আরও অনেক গুণের ভাণ্ডার এই একটি ফল। সুস্বাদু, সুলভ। তাই খাওয়ার অভ্যেস যদি এখনও না থাকে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করে নেওয়াই ভাল। আফটার অল, সুস্থ শরীরের চেয়ে আর কিই বা বেশি চাওয়ার থাকতে পারে!