শিলিগুড়ির প্রশাসক পদে অশোক? `শ্যাম রাখি না কূল রাখি` ভাবছে আলিমুদ্দিন
কারণ রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত রক্ষণশীল বামপন্থীদের নীতি আদর্শের সঙ্গে `কনফ্লিক্ট` করছে। বামপন্থীরা প্রথম থেকেই গণতন্ত্র ও তা রক্ষার্থে ভোটাধিকার প্রয়োগের ওপর বিশ্বাসী। সেক্ষেত্রে বিনা ভোটে প্রশাসক পদে নিয়োগ মেনে নিতে পারছেন না আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের বর্ষীয়ান নেতারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেবল কলকাতা পুরসভা নয়, শিলিগুড়ি পুরসভারও মেয়াদ শেষ হতে চলেছে চলতি মে মাসে। করোনার জেরে রাজ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্য়ের ৮৫টি পুরসভাতেই বর্তমান মেয়র বা চেয়ারম্যানদের প্রশাসক পদে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসন। সেক্ষেত্রে শিলিগুড়ি পুরসভায় প্রশাসক পদের অন্যতম দাবিদার অশোক ভট্টাচার্য। কিন্তু এখানেই বেধেছে গোল! কারণ রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত রক্ষণশীল বামপন্থীদের নীতি আদর্শের সঙ্গে 'কনফ্লিক্ট' করছে। বামপন্থীরা প্রথম থেকেই গণতন্ত্র ও তা রক্ষার্থে ভোটাধিকার প্রয়োগের ওপর বিশ্বাসী। সেক্ষেত্রে বিনা ভোটে প্রশাসক পদে নিয়োগ মেনে নিতে পারছেন না আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের বর্ষীয়ান নেতারা।
অশোক ভট্টাচার্যের শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক পদে নিয়োগের সিদ্ধান্তে কী ভাবছে আলিমুদ্দিন?
সূত্রের খবর, এই ব্যাপারে আলিমুদ্দিনের স্পষ্ট নির্দেশ, কোনওভাবেই এই পদ গ্রহণ করবে না সিপিএম
এক্ষেত্রে তাঁদের যুক্তি, সিপিএম বরাবরই নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছে। সেক্ষেত্রে প্রশাসক পদ গ্রহণ করলে সাধারণের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছবে
যদিও এক্ষেত্রে দ্বিমত তৈরি হয়েছে। সম্পাদকমণ্ডলীর একাংশ মনে করছে, করোনা জেরে যে পরিস্থিতিতে, তাতেই এই সিদ্ধান্ত। তাই যদি সিপিএম সেই সিদ্ধান্ত না মানে, তাতেও ভুল বার্তা পৌঁছতে পারে মানুষের কাছে
আপাতত, আলিমুদ্দিনেই তৈরি হয়েছে সংশয়
তবে এসব নিয়ে ভাবতে নারাজ অশোক ভট্টাচার্য। শিলিগুড়ির প্রশাসক পদে বসছেন? কোনও হেয়ালি না করে তাঁর স্পষ্ট কথা, "কোনও সরকারি কাগজ এখনও হাতে পাইনি। সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার দল নেবে।"
১৭ মে শেষ হচ্ছে শিলিগুড়ি পুরসভার বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ। কলকাতা পুরসভায় ফিরহাদ হাকিমকে প্রশাসক পদে নিয়োগের সময় অশোক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, "বাকি পুরসভার ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু সেটা এখনও সরকার স্পষ্ট করেনি।"
পরবর্তী ক্ষেত্রে শিলিগুড়ি পুরসভায় বর্তমান মেয়র সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্যকেই প্রশাসক পদে নিয়োগ করা হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। রাজ্য সরকার বিরোধী নিয়ন্ত্রিত পুরসভাতেও একই চিন্তাভাবনা অগ্রাধিকার দিয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে যে সংশয় দেখা দিয়েছে আলিমুদ্দিনের অন্দরমহলেই। ফলে শিলিগুড়ি পুরসভা ভবিষ্যত্ কী? তা নির্ধারণ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে যথেষ্টই তাত্পর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।