নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভ। শনিবারও বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে বিক্ষোভের খবর। লালগোলা স্টেশনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষ্ণপুর স্টেশনে চারটি ট্রেন জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু বাংলা জ্বলছে মানতে নারাজ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁর মন্তব্য,"আমি মনে করি না, বাংলা জ্বলছে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে শান্তির আবেদন করেছেন।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সৌগতবাবু বলেন, ''বাংলা জ্বলছে বলে মনে করি না। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। শান্তির আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শীঘ্রই শান্তি ফিরবে। টায়ারে আগুন লাগানো বড় ঘটনা নয়। অসমের সঙ্গে তুলনা করার মতো কিছুই হয়নি। অসমের মতো এখানে পুলিস গুলি চালায়নি।''       


শুক্রবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা স্টেশনে চালানো হয়েছিল ভাঙচুর। শনিবার লালগোলা স্টেশনে লাগানো হল আগুন। এরপর কৃষ্ণপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ৪টি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দিল এক দল বিক্ষোভকারী। দাউ দাউ করে জ্বলছে ট্রেনের একাধিক বগি। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে সাঁকরাইল স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে। ভাঙচুর করা হয়েছে দোকানেও। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কন্ট্রোল প্যানেল। এর ফলে বাধার মুখে পড়ছে ট্রেন চলাচল। উলুবেড়িয়ায় হামসফর এক্সপ্রেসে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।  



মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, "গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করুন। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। পথ অবরোধ, রেল অবরোধ করবেন না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বরদাস্ত করা হবে না। যাঁরা গন্ডগোল করছেন, রাস্তায় নেমে আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাঁদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। বাসে আগুন লাগিয়ে, ট্রেনে পাথর ছুড়ে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"  


আরও পড়ুন- মা-মেয়ে দুজনের সঙ্গেই 'ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক' প্রেমিক সৌরভের, গড়িয়াহাট খুনের তদন্তে নয়া মোড়