নিজস্ব প্রতিবেদন: অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয় এন্টালির মিছিলে। এন্টালি থেকে কলেজস্ট্রিট পর্যন্ত ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিলে হাঁটছে বাম-কংগ্রেস। মিছিল থেকে জোর করে দোকান বন্ধ, গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা করা হয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথমে কংগ্রেসের সমর্থকরা জোর করে দোকানের শাটার বন্ধ করার চেষ্টা করেন। পরবর্তীকালে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী গিয়ে বাধা দেন। মিছিলের নেতৃত্ব প্রদানকারীদের দাবি তাঁরা কোনও রকম অশান্তির আঁচ চান না। তাঁদের শান্তিপূর্ণ মিছিলকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া জন্য  চেষ্টা চালানো হচ্ছে। 


বামেদের দাবি তারা বাস বন্ধ, দোকানের শাটার নামানোর মতো কোনও কাজ করছে না। কিন্তু যে ছবি Zee 4 ghant-র ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে মিছিল এগিয়ে যাওয়ার সময় জোর করে দোকানের শাটার বন্ধ করা হয়। বাস আটকে দেওয়া হয়। 


আরও পড়ুন: 'বাস কেন চলবে আজকে?', জোর করে আটকানোর চেষ্টা মৌলালি মোড়ে, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ


শুক্রবার শহরের রাস্তায় নামানো হয়েছে বিরাট পুলিস বাহিনী। কোথাও এতটুকু অশান্তির আঁচ দেখলে দ্রুত অ্যাকশন নেবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, বেলা বাড়তেই নিত্য যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন। হাওড়া , শিয়ালদহ উভয় শাখাতেই বিক্ষিপ্তভাবে রেল অবরোধ করায় ভোগান্তি যাত্রীদের। 


অন্যদিকে, মৌলালি মোড়ে ধর্মঘটীরা তাণ্ডব দেখায়। বাস আটকানোর চেষ্টা করেন বনধ সমর্থকরা। একইসঙ্গে গোটা রাস্তা জুড়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় টায়ার ও খড়। বনধ সমর্থকদের বিক্ষোভের জেরে প্রায় মিনিট ১৫-২০ অবরুদ্ধ থাকে মৌলালির মত ব্যস্ততম মোড়। পরে পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 


আরও পড়ুন: প্রায় ১১ মাস পর বাজল স্কুলের ঘণ্টা, খুশি পড়ুয়ারা
 


বামেদের ডাকে আজ রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে ১২ ঘণ্টার বনধ। বামেদের ডাকা এই বনধে যোগ দিয়েছে কংগ্রেসও। বনধকে সমর্থন জানিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার বাম ছাত্র-যুবদের ডাকা নবান্ন অভিযানে পুলিসের লাঠিচার্জ, দমননীতির প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে বনধ কর্মসূচি পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে। যদিও নেতৃত্ব দাবি করেছেন যে, কোথাও জোর করে বনধ পালন করা হবে না। সিপিআইএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, কোথাও জোর করে আটকানো হবে না মানুষকে বা রাস্তা। সুজন চক্রবর্তীও একইসুরে বলেন, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনেই বনধ পালিত হবে। তবে জায়গায় জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনাও সামনে এসেছে।