কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। তৃণমূল তখন আক্ষরিক অর্থেই একটি চারাগাছ। সার, জল পেয়ে আজ তা মহীরুহের রূপ নিয়েছে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসে পরিণত হয়েছে। বাংলায় সরকার তাঁদের। লোকসভায় তৃণমূল চতুর্থ বৃহত্তম দল। কংগ্রেসকে বাদ দিলে বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে-ই সামনের সারিতে দেখছে দেশ।


আরও পড়ুন- মৃণাল তর্পণে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু ও সীতারাম ইয়েচুরি


এ বছর ২১-এ পা রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৯-এ তাঁদের অঙ্গীকার ‘দিল্লি দখল’। কেন্দ্রের মোদী সরকারকে সমূলে উত্খাত করে সেখানে ঘাসফুল ফোটানোই লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর সেই মতো বছরের প্রথম দিন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন ব্রিগেডিয়াররা। দলের জন্মজয়ন্তীকে সামনে রেখে কার্যত লোকসভা ভোটের লড়াইয়ে নেমে গেল তৃণমূল। এদিন তৃণমূল ভবনে দলীয় পতাকা উত্তোলন করে সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সি জানিয়ে দিলেন, সিপিএম-এর মতো বিজেপিকেও উপড়ে ফেলবে তাঁরা। সুব্রত বক্সির কথায়, “২০১১-এর আগে কেউ ভাবতে পেরেছিল, তৃণমূল সিপিএম-কে হারিয়ে ক্ষমতায় আসবে? এবারও তাই হবে। বিজেপিকে সমূলে উপড়ে ফেলবে তৃণমূল।”


আরও পড়ুন- উনিশে, একুশে পা তৃণমূলের, নতুন বছরে দেশবাসীকে বিশেষ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী


একই কথা ফিরহাদ হাকিমের মুখেও। কলকাতার মেয়র দলের জন্মদিন সেলিব্রেট করতে করতেই জানিয়ে দিলেন, আগামীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে তৃণমূল তার সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপাবে। ২১-এর মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশ করবে টিএমসি। সেখানেই বাজবে ‘বিজেপির বিদায় ঘণ্টা’। হাতে সময় আর ১৭ দিন, তাই বছরের প্রথম দিন থেকেই ব্রিগেড কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে জেলায়,-জেলায়, ব্লকে-ব্লকে প্রচার কর্মসূচি চালাচ্ছে তারা। ব্রিগেডে শক্তি প্রদর্শনটাই এখন তৃণমূলের পাখির চোখ- বাংলা থেকে ৪২ আসনেই জয়। আর তারপরই নয়া দিল্লির ৭, লোক কল্যাণ মার্গের রাস্তা পাকা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ভাবনা অনেকের কাছে আকাশকুসুম মনে হলেও তৃণমূলীরা বলছেন, ২০১১-তেও অনেকে বিশ্বাস করেনি সিপিএম-কে হারানো যায়। তৃণমূল সেটা করে দেখিয়েছে। এবারও তেমনই কিছু ঘটবে, প্রত্যয়ী তৃণমূল কংগ্রেস।