কলকাতার বুকেই ফের মাদক পাচার চক্রের পর্দাফাঁস, ধৃত ৬
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুকান্তনগরের ভাড়ার ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় এনসিবি। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৯ লক্ষ টাকার ১১০০ গ্রাম চরস। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৩টি মোবাইল, দামি মোটরগাড়িও।
নিজস্ব প্রতিবেদন : খাস কলকাতার বুকেই ফের মাদক পাচার চক্রের পর্দাফাঁস। এক কেজি চরস সহ ৬ পাচারকারীদের ধরল পুলিস। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ম্যানেজমেন্ট পাস দুই তরুণও। এর আগে ২০১৭-র ডিসেম্বরে বড়দিনের আগেই কলকাতায় মাদক পাচার চক্রের পর্দাফাঁস করে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। শহরে যে ড্রাগসের চোরাস্রোত বইছে তার ফের প্রমাণ মিলল এবার।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন কলকাতায় এবার এই মাদক আসে হিমাচল প্রদেশের কুলু থেকে। সেখান থেকে তথ্য পেয়েই মঙ্গলবার রাতে পাঁচ পাচারকারীরে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জেরায় মেলে ষষ্ঠজনের তথ্য। গ্রেফতার করা হয় চিরঞ্জীব কুমার ওরফে সত্য, রাহুল কুমার সিং, রোহিত কুমার সিং, দীনেশ কুমার ওরফে বিক্রম, সুরেন্দ্র কুমার শাহ ওরফে রাজা এবং মোনাজির আখতার ওরফে সোনু। এই ছ'জনকে গ্রেফতার করে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো(এনসিবি)।
আরও পড়ুন- বাসের মধ্যে বাজছে তারস্বরে গান, তাড়া করে ধরল পুলিস
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সুকান্তনগরের ভাড়ার ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় এনসিবি। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৯ লক্ষ টাকার ১১০০ গ্রাম চরস। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৩টি মোবাইল, দামি মোটরগাড়িও।
জেরায় জানা যায় পাচারচক্রে কার কী ভূমিকা ছিল?
চিরঞ্জীব ওরফে সত্য চরস পাচার চক্রের মাথা। রাহুল কুমার সিং ও রোহিত কুমার সিং ম্যানেজমেন্ট পাসআউট। রাহুল ও রোহিত এই ব্যবসায় ফিনান্সার হিসেবে কাজ করত। সুরেন্দ্র কুমার শাহের কাজ ছিল বিভিন্ন জায়গায় ড্রাগস পৌঁছে দেওয়া। মোনাজির আখতার ব্যবসার যাবতীয় হিসেব নিকেশ রাখত।
জনা গেছে, ড্রাগস বিক্রি করে রোজগারও ছিল বেশ শাঁসালো। ধনী কলেজ ছাত্র ও বিত্তবান মহলে চরস বিক্রি করত এই চক্র। প্রতি ভরি চরস বিক্রি হত কমপক্ষে ৬ হাজার টাকায়। ডেলিভারি বয়েরই রোজগার ছিল মাসে অন্তত ৪০ হাজার টাকা। ৪ বছর ধরে মাদক ব্যবসায় ফুলেফেঁপে ওঠে ধৃত ৬ জন।