Tangra Murder Case: সপরিবারে নিজেদের শেষ করার আগে পাওনাদারদের কোটি টাকার চেক দিয়েছিল দুই ভাই! ট্যাংরাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য...

Tangra Incident Update: ঘটনার আগে ৬ জন পাওনাদারকে চেক দিয়েছিল ট্যাংরার প্রণয় ও প্রসূন দে। মোট প্রায় ১ কোটি টাকার ৬ টি চেক দেওয়া হয় পাওনাদারদের ৬ জনকে। তারপরও কেন এই ঘটনা ঘটাল দুই ভাই?

Updated By: Feb 24, 2025, 06:49 PM IST
Tangra Murder Case: সপরিবারে নিজেদের শেষ করার আগে পাওনাদারদের কোটি টাকার চেক দিয়েছিল দুই ভাই! ট্যাংরাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য...

অয়ন ঘোষাল: সপরিবার নিজেদের শেষ করার আগে ৬ জন পাওনাদারকে চেক দিয়েছিল ট্যাংরার প্রণয় ও প্রসূন দে। মোট প্রায় ১ কোটি টাকার ৬ টি চেক দেওয়া হয় পাওনাদারদের ৬ জনকে। গত সোমবার ব্যাঙ্কে চেক জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু সেইসময়ের মধ্যে দে পরিবারের বিজনেস কারেন্ট অ্যাকাউন্টে কাঙ্খিত টাকা জমা পড়েনি। ফলে চেক গুলি বাউন্স হয়ে যেত এই অনুমান ছিল দুই ভাইয়ের। সেক্ষেত্রে পাওনা দাররা বাড়িতে এসে হামলে পড়তেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। চেক বাউন্স এর আইনি হ্যাপার আশঙ্কাতেও ভুগছিলেন দুই ভাই।

Add Zee News as a Preferred Source

বাইপাস লাগোয়া বেসরকারি হাসপাতালে এখনও প্রণয়ের নাবালক পুত্র এবং তার ভাই প্রসূনকে কেউ দেখতে আসেনি, খবর বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে। দীর্ঘ সময় শয্যাশায়ী প্রণয়। প্রথমে বেসরকারি এবং শনিবারের পর সরকারি হাসপাতালে পুলিসের হেফাজতে চিকিৎসাধীন প্রণয়। এন আর এস হাসপাতালে স্কেলেটাল ট্র্যাকশন দিয়ে শুইয়ে রাখা আছে প্রণয়কে। অস্থি রোগ বিভাগে চিকিৎসকদের তত্বাবধানে আছে প্রণয় দে।

বাইপাস লাগোয়া বেসরকারি হাসপাতালে গতকাল সিটি স্ক্যান হয়েছে প্রসূনের। আজ তাকে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে তাকেও এন আর এস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর। বেসরকারি হাসপাতাল ইতিমধ্যেই পুলিসের অনুরোধে দে পরিবারের ৩ সদস্যের বকেয়া বিল মকুব করেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সম্ভবত আজই ছাড়া পাচ্ছে প্রণয়ের নাবালক পুত্র। তাকে এরপর কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে কিছুটা ধন্দে পুলিস।

আরও পড়ুন:West Bengal News LIVE Update: ফেরিওয়ালাকে পিটিয়ে খুন! বাড়ির ছাদ উদ্ধার মৃতদেহ, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য...

কারণ নিয়ম অনুয়ায়ী তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু পরিবার বা আত্নীয় স্বজন কেউ তার দায়িত্ব নিতে চাইছে না। হোমে পাঠাতে গেলে আগে তাকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়ে সেগুলো হোম কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

এন আর এস হাসপাতালে বেড এখনও পর্যন্ত কনফার্ম নয়। বেড কনফার্ম হলেই রুবি থেকে তাদের রিলিজ করানোর প্রক্রিয়া পুলিস শুরু করবে বলে পুলিস সূত্রে খবর। ১২ জানুয়ারির পর থেকে অর্থাৎ সেদিন মধ্যরাত থেকেই দে বাড়ির ভেতরে থাকা ৭ টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আর কোনো ফুটেজ নেই। অর্থাৎ আন প্লাগ করে সেগুলি হার্ড ডিস্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
 
অন্যদিকে, দুই ভাই চলাফেরার মতো অবস্থায় পৌঁছালে ট্যাংরার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা করছে পুলিস। খবর পুলিস সূত্রে।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.