৮ জুনে খুলবে অফিস, যাবেন কীভাবে? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আদৌ কি চলবে বেসরকারি বাস? রবিবার জানাবেন বাসমালিকরা
লকডাউনে পরিবহনে ছাড় মিলেছে, কিন্তু প্রশ্ন থাকছে অনেকই। সেক্ষেত্রে বাস মালিকরা বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই দেখার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাসে যত আসন, তত জন যাত্রী। দাঁড়াবেন না কেউই। ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়াও বাসে উঠতে গেলে মানতে হবে একাধিক নিয়ম, সুরক্ষার কথায় মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে কানডাকটরকেও। কিন্তু রাস্তায় নেমে মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ কতটা মান্য করা যাবে, তা নিয়ে বাস মালিক সংগঠনগুলির মধ্যেই ধোঁয়াশা রয়েছে। আদৌ কি এত নিয়ম মেনে গাড়ি চালানো সম্ভব শহরের রাস্তায়, এই নিয়ে রবিবার সকাল এগারোটায় বিভিন্ন বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলি বৈঠকে বসতে চলেছে।
কী ভাবছে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলি?
লকডাউনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছাড় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৮ জন থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের সব সরকারি, বেসরকারি অফিস। খুলে যাবে জুটমিল, চায়ের দোকানও। অর্থাত্ কর্মস্থলে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আমজনতা কর্মস্থলে পৌঁছবেন কীভাবে, তা নিয়েই ধন্দ। কারণ লোকাল ট্রেন এখনই চালাতে নারাজ রাজ্য, সেক্ষেত্রে ভরসা একমাত্র বাসই। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সুরক্ষা বজায় রাখতে বাসে গাদাগাদি করা যাবে না। বাসে যত সিট, ঠিক ততজনই যাত্রী উঠবেন। দাঁড়ানো যাবে না। সেই মোতাবেক খুবই অল্প যাত্রী উঠবেন বাসে। কিন্তু তাতে কি আদৌ জ্বালানির খরচ তুলতে পারবেন বাস মালিকরা। লোকসানের ভয়ে তাঁরা এখনই বাস চালাতে নারাজ। তার উপর রয়েছে একাধিক সুরক্ষাবিধি। বাস স্যাটিটাইজ করতে হবে, একজন যাত্রী উঠে যাওয়ার পর কনডাকটরকে সেই সিট স্যানিটাইজ করতে হবে, কোনও যাত্রীর কাছে পৌঁছতে পারবেন না কনডাকটর... শহরের রাস্তায় চলন্ত বাসে এত নিয়ম আদৌ কি মানতে পারবেন কেউ? তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে বাস মালিকদের মধ্যেও।
যতগুলি সিট, ততজন যাত্রী! বাসে যাত্রী সংখ্যা নিয়ে নিয়ম শিথিল করল রাজ্য
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য
এপ্রসঙ্গে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এ ভাবে বাস চালানো সম্ভব নয়। বাস ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো দুষ্কর হয়ে পড়বে। বাস শিল্পের সঙ্গে চালক, কন্ডাক্টর, মেন্টেনেন্স স্টাফ সবাই যুক্ত। যে যাত্রী সংখ্যা নিয়ে বাস চালানোর কথা বলা হচ্ছে তাতে চলা সম্ভব নয়। তারপর মেন্টেনেন্স, ডিজেলের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো সম্ভব নয়।"
যাত্রীদের প্রশ্ন
সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে যাত্রীদের মধ্যেও। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে আরও প্রশ্ন, যদি বাসে এত কম সংখ্যক যাত্রী উঠে, তাহলে কর্মস্থলে যেতে সত্যিই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বাসের প্রয়োজন। আবার যদি এক বাসে অনেক যাত্রী উঠে পড়েন, সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
লকডাউনে পরিবহনে ছাড় মিলেছে, কিন্তু প্রশ্ন থাকছে অনেকই। সেক্ষেত্রে বাস মালিকরা বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই দেখার।