UGC Regional Committee: ইউজিসির কমিটিতে নেই রাজ্যের কোনও উপাচার্য, পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে নিশানা ব্রাত্যর
পবিত্র সরকার এনিয়ে বলেন, সবাইকে তো রাখা সম্ভব নয় কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের দু-একজন উপাচার্য রয়েছেন যাদের কমিটিতে রাখা যেত। তাই আমার মনে হয় এক্ষেত্রে একটা পক্ষপাত হয়েছে
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: বঞ্চনার শিকার বাংলা! দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ৫টি অঞ্চলে ভাগ করে পাঁচটি আঞ্চলিক কমিটি গঠন করেছে ইউনিভার্সিটি গ্রান্ড কমিশন(ইউজিসি)। উচ্চশিক্ষা ও শিক্ষানীতি সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করবে ওইসব কমিটিগুলি। সেই কমিটিতে নেই বাংলার কোনও উপাচার্য। অথচ অন্য়ান্য অঞ্চলের উপাচার্যদের ওই কমিটিতে রাখা হয়েছে। এনিয়ে পক্ষপাতের অভিযোগ তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার।
আরও পড়ুন-ছুটি কাটিয়ে কবে প্যারিস সাঁ জাঁ-র হয়ে খেলতে নামবেন বিশ্বজয়ী 'এল এম টেন'? জানতে পড়ুন
পূর্বাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে যেসব রাজ্যগুলি রয়েছে সেগুলি হল বিহার, ঝাড়খণ্ড, অসম, মণিপুর, মেঘালয়, অরুণাচল, মিজোরাম, ত্রিপুরা, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান ও নিকোবর। এইসব রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করবে ওই কমিটি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কমিটির ৭ সদস্যের যে প্যানেল তৈরি হয়েছে সেখানে পশ্চিমবঙ্গের কোনও উপাচার্যটকে রাখা হয়নি। নাগাল্যান্ডের একজন উপাচার্য রয়েছে, বিহারের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য রয়েছেন, ত্রিপুরার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সেখানে রাখা হয়েছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গের কারও স্থান সেখানে হয়নি।
ইউজিসির কমিটি যা দেখবে সেগুলি হল শিক্ষার উন্নতি ও পরিবর্তন, নতুন শিক্ষানীতিতে যেসব সমস্যা রয়েছে তার সমাধান করা। ফলে এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে বাংলার কোনও উপাচার্য না থাকার পেছনে কি কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।
ইউজিসির ওই কাণ্ডে ট্যুইট করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে তিনি লিখেছেন, কেন্দ্র রাজ্য ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে ৫টি কমিটি তৈরি করেছে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির রোডম্যাপ তৈরি করতে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও উপাচার্যকে রাখা হয়নি। এই আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট ও সন্দেহজনক।
তৃণমূলের তরফে এনিয়ে সরব হয়েছেন সাংসদ শান্তনু সেন। জি ২৪ ঘণ্টাকে শান্তনু সেন বলেন, বাংলা সবসময়েই শিক্ষায় এগিয়ে। দেশের অনেক রাজ্যের থেকে সাক্ষরতার দিক থেকে বাংলা উপরের দিকেই রয়েছে। কেন্দ্রের অসহযোগিতা সত্বেও রাজ্যকে এনিয়ে নিয়ে যেতে জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাই কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণের শিকার হতে হয় বাংলাকে। হয়তো এটা তারই একটি প্রতিফলন। এনিয়ে সরকার কোনও পদক্ষেপ নিলে তা জানাবে। আপাতদৃষ্টিতে এটাকে আমার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণতা বলেই মনে হয়েছে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার এনিয়ে বলেন, সবাইকে তো রাখা সম্ভব নয় কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের দু-একজন উপাচার্য রয়েছেন যাদের কমিটিতে রাখা যেত। তাই আমার মনে হয় এক্ষেত্রে একটা পক্ষপাত হয়েছে।