Patanjali: পতঞ্জলি কীভাবে MSME খাতকে সহায়তা করছে এবং দেশীয় ব্যবসার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে...

Patanjali: 'পতঞ্জলি' নামটি শুনলে আমাদের মাথায় প্রথমেই আসে আয়ুর্বেদিক পণ্য ও স্বদেশি জিনিসপত্রের কথা। আজকের দিনে পতঞ্জলি ভারতের বাজারে একটি বড় নাম, যা শুধু দেশীয় পণ্যের প্রচার করছে না, বরং...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'পতঞ্জলি' নামটি শুনলে আমাদের মাথায় প্রথমেই আসে আয়ুর্বেদিক পণ্য ও স্বদেশি জিনিসপত্রের কথা। কিন্তু আপনি কি জানেন, পতঞ্জলি শুধুই একটি আয়ুর্বেদিক কোম্পানি নয়? এটি একটি আন্দোলনে পরিণত হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতি উন্নত করার জন্য কাজ করছে।

আজকের দিনে পতঞ্জলি ভারতের বাজারে একটি বড় নাম, যা শুধু দেশীয় পণ্যের প্রচার করছে না, বরং সাধারণ মানুষের কাছে আয়ুর্বেদ পৌঁছে দিয়েছে। পতঞ্জলি শুধু পণ্য উৎপাদন করছে না, বরং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (MSME) খাতকে শক্তিশালী করতেও সহায়তা করছে। গত কয়েক বছরে পতঞ্জলি ছোট উদ্যোগগুলোকে নতুন প্রাণ দিয়েছে এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের বাড়তে সাহায্য করেছে।

তাহলে, পতঞ্জলি কীভাবে MSME খাতকে সহায়তা করে এবং স্থানীয় উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যায়? আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

দেশীয় পণ্যের মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নয়ন

পতঞ্জলি ভারতের শীর্ষ FMCG (দ্রুত বিক্রয়যোগ্য ভোগ্যপণ্য) কোম্পানিগুলোর একটি। এটি শুধু ভেষজ ও আয়ুর্বেদিক পণ্যের জন্য পরিচিত নয়, বরং দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ভিন্নধর্মী ব্যবসায়িক মডেল, সাশ্রয়ী মূল্য নির্ধারণ এবং স্বদেশি পণ্যের উপর জোর দিয়ে পতঞ্জলি দেশীয় উৎপাদন, MSME ও উদ্যোক্তাদের নতুন গতি দিয়েছে।

স্বামী রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণর নেতৃত্বে পতঞ্জলি বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেছে এবং ভারতীয় ভোক্তাদের জন্য প্রাকৃতিক ও সাশ্রয়ী পণ্যের বিকল্প দিয়েছে। এর ফলে আমদানিকৃত পণ্যের উপর নির্ভরতা কমেছে এবং দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য আরও ভালো হয়েছে।

ক্ষুদ্র শিল্প ও স্টার্টআপদের সহায়তা

পতঞ্জলি অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (SME) এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে, যাতে তারা বড় প্ল্যাটফর্মে কাজ করার সুযোগ পায়। এই অংশীদারিত্বের ফলে স্থানীয় উদ্যোক্তারা শুধু বাজারে প্রবেশ করতে পেরেছে তা নয়, তারা প্রযুক্তিগত সহায়তা, ব্র্যান্ডিং এবং বিতরণ নেটওয়ার্কও পেয়েছে। এই মডেলটি সরাসরি "মেক ইন ইন্ডিয়া" অভিযানে সহায়তা করে। এ ছাড়াও পতঞ্জলি তাদের পণ্য ৩০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করে, যার ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

লাভ নয়, দেশ গঠনের উপর জোর

পতঞ্জলি কেবল মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করে না, বরং তাদের লাভের একটি বড় অংশ সমাজের কল্যাণে বিনিয়োগ করে — যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও গবেষণার ক্ষেত্রে। এটি পতঞ্জলিকে একটি সামাজিকভাবে দায়িত্ববান কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যেখানে অনেক বেসরকারি কোম্পানির মূল লক্ষ্য লাভ, সেখানে পতঞ্জলির উদ্দেশ্য হলো সমাজ ও দেশের উন্নয়ন। স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সহায়তা, দেশীয় পণ্যের প্রচার এবং MSME খাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে পতঞ্জলি দেশের অর্থনীতিকে দৃঢ় করেছে।

উপসংহার

আজ পতঞ্জলি শুধু একটি কোম্পানি নয়, এটি একটি আন্দোলন — যা আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।