নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ বারবার তুলেছে ভারত-সহ গোটা বিশ্ব। এবার সেই অভিযোগের বড় প্রমাণ ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বলেই জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ওই সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের মদতে এই মুহূর্তে ১৬টি জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চলছে। এর মধ্যে পাকিস্তানেই রয়েছে পাঁচটি ক্যাম্প। বাকি ১১টি রয়েছে পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরে।


পাকিস্তানের মধ্যে যে পাঁচটি জঙ্গিঘাঁটি রয়েছে, তার মধ্যে দু'টি রয়েছে পঞ্জাব প্রদেশে। বাকি তিনটি জঙ্গিঘাঁটি চালানো হচ্ছে খাইবার-পাখতুনওয়া এলাকায়।


আরও পড়ুন: বায়ুসেনার শক্তি বাড়াতে সুখোই যুদ্ধবিমানে যুক্ত হচ্ছে স্পাইস বোমা


অন্যদিকে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে যে ক্যাম্পগুলি রয়েছে, তার মধ্যে পাঁচটি রয়েছে মুজফ্ফরাবাদ, কোটলি ও বারনালাতে। এই এলাকাগুলি নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছাকাছি।


প্রসঙ্গত, ১১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা হয়। শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান। আহত হন অনেকে। এই ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ আরও বেশি করে উঠতে থাকে।


আরও পড়ুন: দিল্লিতেও মহাজোট ব্যর্থ! আপ-র সঙ্গে জোটে যাচ্ছে না কংগ্রেস


পুলওয়ামা হামলার দায় জইশ-ই-মহম্মদ স্বীকার করে নিয়েছিল। জইশের প্রধান মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই রয়েছে বহাল তবিয়তে। তাকে আশ্রয় দেওয়ায় অভিযুক্ত পাকিস্তান।


পুলওয়ামা হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয়। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের কাছে প্রমাণ চেয়েছিল। কিন্তু ভারত সেই পথে হাঁটেনি। বরং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা।


আরও পড়ুন: বিজেপির ওয়েবসাইটে সাইবার হানা! জানাল কংগ্রেসও


ওই হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটি। সরকারি তরফে জানানো হয়, ওই হামলায় শেষ হয়ে গিয়েছে জইশের পাঁচজন মাথা। তার মধ্যে মাসুদের, ভাই, দাদা, শ্যালক রয়েছে।


কিন্তু তার পর নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে জঙ্গিঘাঁটিগুলি এখনও সক্রিয়। ওই ঘাঁটিগুলিতে ২০১৮ সালে প্রায় ৫৬০ জন জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এখনও অনেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।


আরও পড়ুন: পুলওয়ামার জঙ্গিহামলাকে 'দুর্ঘটনা' বলে বিতর্কে কংগ্রেস নেতা দ্বিগ্বিজয় সিং


সূত্রের খবর, এর আগে বালাকোটের জঙ্গিঘাঁটি নিয়েও ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে রিপোর্ট এসেছিল। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সেখানে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। তাই এবারও একই ধরনের হামলা হয় কি না, এখন সেটাই দেখার।