ছত্তিসগড়ে সংঘর্ষে হত ২২ মাওবাদী

ছত্তিসগড়ে মাওবাদী দমনে বড়সড় সাফল্য পেল রাজ্য পুলিস ও সিআরপিএফ-এর যৌথবাহিনী। ৩টি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু হল ২২ জন মাওবাদীর। তবে নিহতদের মধ্যে ১৭ জনই স্থানীয় আদিবাসীদের নিয়ে গঠিত সিপিআই(মাওবাদী)-র সহযোগী সংগঠন সঙ্ঘম-এর সদস্য বলে খবর মিলেছে।

Updated By: Jun 29, 2012, 11:27 AM IST

ছত্তিসগড়ে মাওবাদী দমনে বড়সড় সাফল্য পেল রাজ্য পুলিস ও সিআরপিএফ-এর যৌথবাহিনী। ৩টি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু হল ২২ জন মাওবাদীর। তবে নিহতদের মধ্যে ১৭ জনই স্থানীয় আদিবাসীদের নিয়ে গঠিত সিপিআই(মাওবাদী)-র সহযোগী সংগঠন সঙ্ঘম-এর সদস্য। অন্যন্যরা মাওবাদী সশস্ত্র বাহিনী পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি(পিএলজিএ)-র সদস্য বলে খবর মিলেছে।
বিজাপুর জেলার বাসাগুড়া থানা এলাকায় শুক্রবার ভোররাত থেকে সিআরপিএফ-এর সঙ্গে চলা সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জন মাওবাদীর। বিজাপুরের পুলিস সুপার প্রশান্ত আগরওয়াল জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোররাতে জঙ্গলে সিআরপিএফ-এর সঙ্গে এঁদের মৃত্যু হয়েছে। গুলিতে আহত হয়েছেন ২ মাওবাদী। নিহতদের মধ্যে ১৭জন ও আহতরা মাওবাদীদের সহযোগী সংগঠন সঙ্ঘম স্কোয়্যাডের সদস্য।

বিজাপুরের সংঘর্ষের ঘটনায় সিআরপিএফের ৬ জওয়ানও আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জঙ্গলে আত্মগোপন করে থাকা মাওবাদীদের খোঁজে জোরদার তল্লাসি অভিযান শুরু করেছে রাজ্য পুলিস ও সিআরপিএফ-এর যৌথবাহিনী।
অন্যদিকে, সুকমা জেলায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গিয়েছে ২ মাওবাদী। গ্রেফতার হয়েছেন ৭ জন। নারায়ণপুরেও সিআরপিএফের সঙ্গে সংঘর্ষে ২ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। মূলত পিএলজিএ-র সহযোগী হিসেবেই ছত্তিসগড়ের বনাঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষদের নিয়ে সঙ্ঘম বাহিনী গড়ে তোলে মাওবাদীরা। রেড করিডোরে নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধির উপর নজরদারির কাজেও এই সংগঠনের সদস্যদের ব্যবহার করে মাওবাদী গেরিলা স্কোয়াডগুলি।

.