জনসভায় আপ নেতার শপথ, `আর মদ ছুঁয়েও দেখব না`
২০১৯-এর প্রথম দিনই দলের এক জনসভায় উপস্থিত হয়ে তিনি এই শপথ নেন। পঞ্জাবের জনতা ও মায়ের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দেন, মদ তিনি আর ছুঁয়েও দেখবেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ''আর মদ ছুঁয়েও দেখব না।''
পরিবারের চাপে পড়ে মদে অত্যধিক আসক্তদের এমন শপথ নিতে দেখা যায়। কেউ একবার নেন। কেউ বারবার।
আরও পড়ুন: একসময় কাগজ কুড়োতেন, চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচিত হলেন বিজেপি নেতা রাজেশ কালিয়া
কিন্তু এই ঘটনা সাধারণত চার দেওয়ালের মধ্যে থেকে যায়। প্রকাশ্যে আসে না সচরাচর। এবার সেই ঘটনাই প্রকাশ্যে ঘটল। তাও আবার একজন দু'জনের সামনে নয়। একেবারে ভরা সভায়।
আর যিনি এই শপথ নিলেন, তিনিও কোনও যে সে লোক নন। তিনি একজন সাংসদ। আর জনপ্রিয় একজন গায়কও। তিনি ভগবত মান। ২০১৯-এর প্রথম দিনই দলের এক জনসভায় উপস্থিত হয়ে তিনি এই শপথ নেন। পঞ্জাবের জনতা ও মায়ের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দেন, মদ তিনি আর ছুঁয়েও দেখবেন না।
আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধেই ভোট দেব, সাফ জানাল এনডিএ শরিক জেডিইউ
ঘটনাটি ঘটে নতুন বছরের প্রথম দিন ঘটলেও সামনে আসে রবিবার। প্রায় ২০ দিন পর এই ঘটনার কথা ট্যুইটারে ফাঁস করেছেন মানের দলেরই নেতা তথা দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।
মণীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, পঞ্জাবের বার্নালার ওই সভা থেকে মান এও জানিয়েছেন যে তিনি এখন থেকে পঞ্জাবের জন্য নিজের সর্বস্ব উত্সর্গ করলেন।
মদ না খাওয়ার সিদ্ধান্ত তিনি কেন নিলেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আপ সাংসদ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর এই মদ্যপানের অভ্যাসের জন্য বিরোধীরা তাঁর সমালোচনা করছেন। এমনকী, দলের নেতাদের অনেকেও তাঁকে এ নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। তাই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেওয়াল টপকে সোজা সিংহের খাঁচায় যুবক, চোখের নিমেষেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড পঞ্জাবের চিড়িয়াখানায়
প্রসঙ্গত, ভগবত মানকে তাঁর এই অভ্যাসের জন্য বহুবার বিতর্কে পড়তে হয়েছে। একাধিক অনুষ্ঠানে তিনি মদ্যপ অবস্থায় গিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, তাঁর মদ্যপানের অভ্যাসের জন্য তাঁর দলের সদস্যই সংসদে নিজের আসন বদলাতে চেয়েছিলেন।
এক সময় ওই নেতাকে পঞ্জাবের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। কিন্তু মদ্যপান বিতর্কের জেরে ওই পদ থেকেও তাঁকে সরতে হয়। সংসদে ভগবত মানের মদ্যপানের প্রসঙ্গও উঠে এসেছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে। তিনি সরাসরি না বললেও যা বলেছিলেন, তাতে কারও বুঝতে অসুবিধা হয়নি মোদী কী বলতে চাইছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় এবছর ব্রিটেনকেও পেছনে ফেলে দেবে ভারত
এদিকে ভগবাতের এই সিদ্ধান্তে খুশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, এখন আর কেউ বড় শপথ নেন না। কিন্তু ভগবানের আশীর্বাদে মান নিশ্চয় নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারবেন।