Pahalgam Terror Attack | Adil Hossain: সব মরণ নয় সমান! জঙ্গিদের উপর ঝাঁপিয়ে বন্দুক কেড়ে নিয়ে শহিদ... বীর ঘোড়াওলা আদিল...
Pahalgam Terror Attack: মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসীদের গুলি থেকে বাঁচতে পর্যটকরা যখন ছুটে যাচ্ছিলেন, তখন এক ঘোড়ার পিঠে করে রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করার সময় গুলি এসে তাঁর গায়ে লাগে।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ডুকরে কেঁদে উঠল গোটা গ্রাম। এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। কাশ্মীরের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা এসেছেন সকলে তাঁদের প্রিয় আদিলকে একবার শেষ দেখা দেখতে। আদিল হুসেন শাহ- পহেলগাঁওতে নিহত কাশ্মীরি ঘোড়া চালক। পর্যটকদের ঘোড়ায় ঘুরিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন আদিল। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনি। আদিলের সাহসিকতাকে সারা দেশ স্যালুট জানাচ্ছে। গতকাল পহেলগামের বাইসারনে সন্ত্রাসী হামলার সময় সাহসী কাশ্মীরি যুবক আদিল হুসেন শাহ নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন। সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করার সময়, আরেকজন আক্রমণকারী পিছন থেকে আদিলের উপর গুলি চালায়, গুরুতর আহত হয় এবং পরে তার আঘাতে মারাও যায়।
আরও পড়ুন: 'নিরপরাধদের যারা মেরেছে, তাদের...', কাশ্মীরের রক্তপাতে ক্ষোভে ফুটছেন সলমান-ভিকি-অক্ষয়রা
পহেলগামের হাপাত নার এলাকার বাসিন্দা আদিল হুসেন শাহ একজন পরিশ্রমী ঘোড়া-চালক ছিলেন, যিনি পর্যটকদের সেবায় সর্বদা এগিয়ে থাকতেন। তার হাসি এবং আন্তরিকতা দিয়ে মানুষের হৃদয় জয় করতেন। আদিল কেবল তার পরিবারের একমাত্র ভরসা ছিলেন না বরং তার এলাকার গর্বও ছিলেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন যে 'আদিলের সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগ আবারও প্রমাণ করেছে যে কাশ্মীরের ছেলেরা কেবল সাহসীই নয়, মানবতার রক্ষকও। আজ, সমগ্র উপত্যকা আদিলের শোকে শোকাহত। প্রতিটি চোখ জলে ভরে গেছে এবং প্রতিটি হৃদয় গর্বে ভরে গিয়েছে। আদিল কাশ্মীরের একজন সৈনিক, একজন বীর।'
হাপাত নায়ার- আদিলের গ্রামের আরেকজন স্থানীয় বলেন, 'আমরা আদিলের মহান আত্মত্যাগকে সালাম জানাই এবং এই শোকের মুহূর্তে তাঁর পরিবারের সঙ্গে আমাদের সম্পূর্ণ সংহতি জানাই। আমরা সরকারকে আদিলকে জাতীয় বীর ঘোষণা করার এবং তার পরিবারকে পূর্ণ আর্থিক ও নৈতিক সহায়তা প্রদানের দাবি জানাই।'
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসীদের গুলি থেকে বাঁচতে পর্যটকরা যখন ছুটে যাচ্ছিলেন, তখন এক ঘোড়ার পিঠে করে রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করার সময় গুলি এসে তাঁর গায়ে লাগে।
সন্ত্রাসীরা, পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে এবং তাঁদের একটি ইসলামিক আয়াত পাঠ করানোর পর ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করে বলে জানা গেছে। হামলায় নিহত একমাত্র স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন এই আদিল শাহ।
আরও পড়ুন:: 'ইসলাম যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন সন্ত্রাস বেঁচে থাকবে...', বিস্ফোরক তসলিমা...
তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী এবং সন্তানরাও ছিলেন। তাঁর অসহায় মা ছেলের মৃত্যুতে শুধুই কেঁদে চলেছেন। একই সঙ্গে পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত। পরিবার ন্যায়বিচারের জন্য আবেদন করেছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)