দেশের নিরাপত্তা নিয়ে খেলছেন রাহুল গান্ধী, নজরদারি বিতর্কে তোপ অমিতের

এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

Updated By: Dec 22, 2018, 12:02 AM IST
দেশের নিরাপত্তা নিয়ে খেলছেন রাহুল গান্ধী, নজরদারি বিতর্কে তোপ অমিতের

নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যক্তিগত কম্পিউটারে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে নজরদারির ছাড়পত্রে, বিরোধীদের তোপে মোদী সরকার। নরেন্দ্র মোদী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা একনায়ক বলে কটাক্ষ করেছেন রাহুল গান্ধী। 

এদিন টুইটারে রাহুল লেখেন, পুলিস রাষ্ট্র তৈরি করে ফেললেই মোদীজির সমস্যার সমাধান হবে না। বরং তিনি যে কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা একনায়ক তা এই পদক্ষেপে দেশবাসী বুঝতে পারছেন। 

তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ''আরও একবার ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছেন রাহুল। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে রাজনীতি করছেন। বেআইনি নজরদারিতে বাধা দেয়নি ইউপিএ সরকার। কিন্তু মোদী সরকার দেশের নাগরিকদের সুরক্ষাকবচ দিতেই ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছেন রাহুল। কী গোপন চাইছেন উনি''?  

অমিত আরও বলেন, ''ভারতীয় ইতিহাসে দুজন একনায়ক ছিলেন। একজন দেশে জরুরি অবস্থা চালু করেছিলেন। অন্যজন দেশবাসীর চিঠিপত্র পড়তে চেয়েছিলেন। রাহুল গান্ধী বলুন কারা তাঁরা?''

   

এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দাবি করেন, অবিলম্বে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ''আমি চিন্তিত। সাধারণের কম্পিউটারে নজরদারি চালানো হবে। ব্যক্তিগত তথ্য ও ব্যবসায়িক তথ্য কি দিয়ে দেবেন? কারও কি ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকবে না?'' এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা ঘিরে তুমুল বিতণ্ডা শুরু হয় রাজ্যসভায়। চেঁচামেচি শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। জেটলির দাবি, ২০০৯ সালে মনমোহন সিং জমানার নির্দেশিকাটি ফের জারি করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে খেলছে কংগ্রেস। অযথা তিলকে তাল করছে তারা। জেটলির দাবি মিথ্যা বলে পাল্টা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,''অরুণ জেটলি ঠিক বলছেন না। ২০০৯ সালে আলাদা পরিস্থিতি ছিল। আমরা এখন পরাধীন হচ্ছি''।

প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কম্পিউটারের ওপরে নজরদারি চালাতে পারবে আইবি, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট, সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট ট্যাক্স, ডাইরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স, সিবিআই, এনআইএ, র, ডাইরেক্টরেট অব সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স, দিল্লির পুলিস কমিশনার যে কারও কম্পিউটারের ওপরে নজরদারি চালাতে পারে।

আরও পড়ুন-ঘণ্টায় ১৮০ কিমি গতিবেগে দৌড়চ্ছিল ট্রেন-১৮, উড়ে এল পাথর, তারপর...

.