নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতারণা মামলায় বেড়িয়ে পড়ল ইংরেজি ভাষায় দুর্বলতার রোগ। বিহারের মুঙ্গের পুলিসের হাত ধরে এবার প্রকাশ্যে চলে এল ইংরেজিতে কাঁচা হওয়ার চেনা সমস্যা। একটি মামলায় আদালতের তলব পেয়ে পুলিস বিচারকের সামনে কবুল করল, এফআইআর ইংরেজিতে লেখা তাই তদন্ত শুরুই করা ‌যায়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিসের ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে বহু কথাই শোনা ‌যায়। কখনও কখনও শোনা ‌যায় পুলিস এফআইআর আঞ্চলিক ভাষায় লিখতে বাধ্য হয়েছে কারণ ইংরেজি জানে না। মুঙ্গেরের কোতয়ালি থানাতেও একই ঘটনা। একটি জালিয়াতির মামলায় এফআইআর লেখা হয়েছিল ইংরেজিতে। ব্যাস সেখানেই আটকে গেল পুলিস। শেষমেষ আদালতে গিয়ে বেইজ্জতির একশেষ।


গুরগাঁওয়ের একটি কোম্পানি একটি প্রতারণার অভি‌যোগ করেছিল হায়দরাবাদের একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে। সেই অভি‌যোগ লেখা হয়েছিল ইংরেজিতে। নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনু‌যায়ী, মাস পাঁচেক আগে ওই এফআইআর নেওয়া হয় আদালতের নির্দেশেই। ৩০ লাখ টাকা প্রতারণার অভি‌যোগ করা হয় ওই এফআইআর-এ।  


পাঁচ মাস পরে আদালতের তলব পেয়ে কোতওয়ালি থানার এসএইচও বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটকে এফ রহমান জানালেন, স্যার! এফআইআর লেখা হয়েছে ইংরেজিতে। কিছুই বুঝতে পারছি না। বিচারক তো হতবাক। বাধ্য হয়েই সিজেএম ওই মামলার তদন্তভার দিলেন মুঙ্গেরের ডিআইজিকে।


বিহার প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য পুলিসে কর্মরত অর্ধেক ইনস্পেক্টর ও সাব ইনস্পেক্টরের ইংরেজির জ্ঞান খুবই কম। এক্ষেত্রে অবস্থা এতটাই খারাপ ‌যে ‌যখন কোনও ব্যক্তি ইংরেজিতে অভি‌যোগ লেখেন তখন তকে বলা হয় হিন্দিতে লিখে আনতে।


আরও পড়ুন-রাস্তায় গাড়িতে বসে স্তন্যপান! হেনস্থার শিকার মা ও ৭ মাসের শিশু