ক্ষমতায় এলে ইয়েদুরাপ্পাই হবেন মুখ্যমন্ত্রী, কর্নাটকে সরকার সঙ্কটে ঘোষণা বিজেপির
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্পিকার রমেশ কুমার জানান, তাঁর সচিবালয় ১১ বিধায়কের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছে। আগামিকাল ছুটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী এই মুহূর্তে আমেরিকায়। আগামিকালই ফিরবেন বেঙ্গালুরু, এমনটা জানা যাচ্ছে। ও দিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কেসি বেণুগোপাল যুদ্ধকালীন তত্পরতায় ছুটে এসেছেন বেঙ্গালুরুতে। যে কোনও উপায়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। বলেন, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও খবর নেই। কী খবর? আজ কংগ্রেসের ১১ ও জেডিএস-এর ৩ জন বিধায়ক স্পিকারে কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র দেন। এরপরই হুলুস্থুল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্পিকার রমেশ কুমার জানান, তাঁর সচিবালয় ১১ বিধায়কের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছে। আগামিকাল ছুটি। সোমবার এ বিষয় নিয়ে চর্চা হবে। কিন্তু ততক্ষণে বিজেপি ঘোষণা করে দিয়েছে, ক্ষমতায় এলে তাদের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা। কংগ্রসের অভিযোগ এই ইস্তফার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। শাসকদলের অভিযোগ খারিজ করে ইয়েদুরাপ্পা জানান, স্পিকার এখন কী করেন সে দিকে তাকিয়ে তাঁর দল। রাজভবনে যাওয়ার এই মুহূর্তে পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ‘মোদী চোর’ বিতর্কে মানহানি মামলায় জামিন পেলেন রাহুল গান্ধী
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে কংগ্রেস বিধায়ক রামলিঙ্গ রেড্ডি জানান, “স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র দিতে এসেছি। আমার মেয়ের (তিনিও কংগ্রেসের বিধায়ক) সম্পর্কে বলতে পারব না। সে একজন স্বাধীনচেতা মানুষ।” কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে বলেন, কাউকে দোষারোপ করছি না। কিন্তু বিভিন্ন ইস্যুতে মতামত জানাতে ব্যর্থ হয়েছি। কোথাও বঞ্চিত হয়েছি বলে মনে হয়। এই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। জানা যাচ্ছে, ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর এবং রাজ্যের মন্ত্রী ডিকে শিবকুমার জরুরীকালীন বৈঠক ডাকেন।
গত সোমবার কংগ্রেসের দুই বিধায়ক আনন্দ সিং এবং রমেশ জারকিহোলি ইস্তফা দেন। যদিও তাঁদের এখনও ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা যায়। তবে, এই বিধায়কদের ইস্তফার পর কংগ্রেস ও জেডিএস-এর বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে যথাক্রমে ৬৯ ও ৩৪। এই জোটে বিএসপি-র একটি ও নির্দল ২ বিধায়ক রয়েছে। আর বিজেপির হাতে বিধায়ক ১০৫। ইস্তফা নিয়ে জল্পনা থাকলেও সুতোয় ঝুলছে কংগ্রেস-জেডিএস-এর সরকার।