নিজস্ব প্রতিবেদন: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভার ভোটের ফল যেদিকে দিক নির্দেশ করছে, তা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে যথেষ্ট চাপে ফেলবে। কারণ, এই ট্রেন্ড লোকসভা ভোটেও বজায় থাকলে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়ে যাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কারণ, পাঁচ রাজ্যের ভোটের নিরিখে লোকসভায় অনেক আসন হারাতে হতে পারে বিজেপিকে। লোকসভায় গোবলয়ের তিন রাজ্য ছত্তিসগড়, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে ৬৬টি আসন রয়েছে। ওই ৬৫টি আসনের মধ্যে ২০১৪ সালে বিজেপি ৬১টি আসন ছিল বিজেপির দখলে। বাকি পাঁচটি পেয়েছিল কংগ্রেস।


এবার সেই ফল পুরো উলটে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গোবলয়ের ওই তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল অনুযায়ী, বিজেপি পেতে পারে ২৬টি আসন। ফলে কমতে পারে ৩৫টি আসন। উলটো দিকে কংগ্রেস পেতে ৩৯টি আসন।


রাজস্থান: ওই মরুরাজ্যে ২০১৪ সালে গেরুয়া ঝড়ে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস। ওই রাজ্যে লোকসভার আসন সংখ্যা ২৫। সবকটিতেই জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু এবার সেই ফল হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নয়। বিধানসভার ট্রেন্ড লোকসভাতেও বজায় থাকলে রাজস্থানে বিজেপি ১১টি ও কংগ্রেস ১৪টি আসন জিততে পারে।


মধ্যপ্রদেশ: গোবলয়ের এই রাজ্যে লোকসভার ২৯টি আসন রয়েছে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ওই রাজ্যে বিজেপি ২৬ ও কংগ্রেস তিনটি আসনে জিতেছিল। কিন্তু বিধানসভার ফল সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরেছে। বিধানসভার হিসেবে এখনই লোকসভা নির্বাচন হলে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ১৩টি ও কংগ্রেস ১৬টি আসন জিততে পারে।


ছত্তিসগড়: ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ছত্তিসগড়ে কংগ্রেসকে দাঁড়াতেই দেয়নি বিজেপি। ওই রাজ্যে ১১টি আসন। ওই বছর কংগ্রেস ছত্তিসগড়ে মাত্র ১টি আসন পেয়েছিল। বিজেপি পেয়েছিল বাকি ১০টি। এবার ফল পুরো উলটে যেতে পারে। বিধানসভার ফল অনুযায়ী, কংগ্রেস পেতে পারে ১০টি আসন। ১টি আসন পেতে পারে বিজেপি।


গোবলয়ের তিন রাজ্য ছাড়া বাকি যে দুটি রাজ্য রয়েছে, সেই তেলঙ্গানা ও মিজোরামে বিজেপি ২০১৪ সালেও ভাল ফল করতে পারেনি। এবারও তাদের সম্ভাবনা তেমন ভালো নয়।


তেলঙ্গানা: ২০১৪ সালে ওই রাজ্যে টিআরএস ১২, কংগ্রেস ২, বিজেপি-টিডিপি জোট ২ ও অন্যান্যরা একটি আসন পেয়েছিল। এবারের বিধানসভার হিসেবে তেলঙ্গানায় আসন বাড়বে টিআরএসের। তারা ১৫টি আসন পেতে পারে। এখন কংগ্রেসের সঙ্গে টিডিপির জোট। সেই জোট পেতে পারে একটি আসন। ২০১৪ সালে বিজেপি একটি ও টিডিপি একটি আসন পেয়েছিল। হিসেব অনুযায়ী, টিডিপি একটি আসন পেতে পারে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসকে শূন্য হাতে তেলঙ্গানা থেকে ফিরতে হবে। বিজেপিরও একই অবস্থা হবে। তাদেরও ওই রাজ্য থেকে খালি হাতে ফিরতে হবে।


মিজোরাম: উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই রাজ্যে একটি মাত্র লোকসভা আসন। ওই আসনটি ২০১৪ সালে দখল করেছিল কংগ্রেস। এই ট্রেন্ড অনুযায়ী লোকসভা ভোটে মিজোরামের ওই আসন জিততে পারে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট।


আজ, মঙ্গলবার যে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশিত হল, ওই পাঁচ রাজ্যে মোট ৮৩টি লোকসভার আসন রয়েছে। ২০১৪ সালে বিজেপি ওই পাঁচ রাজ্য থেকে বিজেপি ৬৩টি আসন পেয়েছিল। এবার সেই সংখ্যা ২৬-এ নেমে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস সাতটি আসন পেয়েছিল ২০১৪ সালে। এবার কংগ্রেসের ঘরে যেতে পারে ৪০টি আসন। অনান্যদের দখলে যেতে পারে ১৭টি আসন।


Live TV-তে দেখুন লেটেস্ট আপডেট


আগামী কয়েকমাস পর লোকসভার লড়াই। তার আগে এই ফল শোধরাতে না পারলে, বিজেপি চাপে পড়বে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতামত।


যদিও বিশেষজ্ঞদের অন্য একটি অংশ এই ফলের সঙ্গে লোকসভার হিসেব মেলাতে নারাজ। তাঁদের মতে, বিধানসভার ভোট হয় রাজ্যের ইস্যুর উপর ভিত্তি করে। এর সঙ্গে জাতীয় প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের কোনও তুলনা চলে না। কারণ, লোকসভার ভোটে জাতীয় ইস্যুগুলিই প্রাধান্য পাবে। সেখানে ভোটের ফল নির্ভর করে দেশের মানুষ নরেন্দ্র মোদীকে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন কি না!