কমলিকা সেনগুপ্ত: বিজেপি জিতল। ভারত হারল। রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের পর টুইটারে প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যসভায় তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েনের বক্তব্য, মমতা দি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, বাংলায় এনআরসি বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কার্যকর হবে না।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিরোধিতা সত্ত্বেও রাজ্যসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বিলটি ভারতের ধর্মীয় বৈচিত্র্যের পরিপন্থী বলে দাবি করেছে তৃণমূল-সহ বিরোধীরা। বিল পাসের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক টুইট করেন,বিজেপি জিতল। ভারত হারল। 



বিল পাসের পর তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেন,''এই সরকার বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু কোনওটাই পূরণ করতে পারেনি। মমতা দি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি ও সিএবি লাগু হবে না।'' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার স্পষ্ট করেছেন বাংলায় এনআরসি হতে দেবেন না। 


বুধবার রাজ্যসভায় নাম না করে বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত প্রশ্ন করেন, একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি হবে না বলে দাবি করেছেন। উনি কি আটকাতে পারেন? তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জবাব দেন, আপনি, স্বপন দা অত্যন্ত বিনয়ী। নাম না নিয়ে ভদ্রতা দেখাচ্ছেন। খুলে বলতে পারছেন না। তবে আমি স্পষ্ট করে দিই, বাংলা-সহ গোটা দেশেই হবে এনআরসি।   


২০২১-এ বিজেপির লক্ষ্য বাংলা। নাগরিকত্ব বিলকে সামনে রেখে সব উদ্বাস্তু হিন্দু ভোট ঝুলিতে পুরতে চাইছে তারা। আগে সিএবি, পরে এনআরসি। তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে ভাঙন ধরানই এখন গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য। বুধবারও অমিত শাহ বলেছেন,''২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলায় আসা সব উদ্বাস্তু হিন্দুই শর্তছাড়াই পাবেন নাগরিকত্ব।''     



বলে রাখি, বুধবার প্রায় ৮ ঘণ্টা বিতর্কের পর রাজ্যসভায় পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। ভোটাভুটির সময় ২৪০ জন সাংসদের মধ্যে রাজ্যসভার অধিবেশনকক্ষে উপস্থিত ছিলেন ২৩০ জন। তার জেরে ম্যাজির ফিগার নেমে দাঁড়ায় ১১৬। বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৫টি। বিপক্ষে ভোট দেন ১০৫ জন সাংসদ।


আরও পড়ুন- 'নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অবৈধ', সুপ্রিম কোর্টে মামলা ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগের