রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ কংগ্রেসের প্রার্থী জিতিন প্রসাদ বিজেপির পথে
জিতিন প্রসাদকে কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা হিসেবেই দেখা হয়। তিনি দু`বার কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। তাঁকে এবার উত্তরপ্রদেশের ধৌরহরা থেকে প্রার্থীও করেছিল কংগ্রেস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের মুখে বড় ধাক্কা খেতে চলছে কংগ্রেস। দলের সভাপতি রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ নেতা জিতিন প্রসাদ এবার যোগদান করতে চলেছেন বিজেপিতে। অন্তত রাজধানীর রাজনৈতিক মহল সূত্রে এমন খবর পাওয়া গিয়েছে।
জিতিন প্রসাদকে কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা হিসেবেই দেখা হয়। তিনি দু'বার কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। তাঁকে এবার উত্তরপ্রদেশের ধৌরহরা থেকে প্রার্থীও করেছিল কংগ্রেস।
ফলে তিনি যদি বিজেপিতে যোগদান করেন, তাহলে নির্বাচনের মুখে রাহুল গান্ধীকে অস্বস্তির মুখে পড়তেই হবে। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি নাকি বিজেপি অফিসে পৌঁছানোর পথে।
আরও পড়ুন: সোপিয়ান-বারামুলায় টানা এনকাউন্টারে খতম ৩ জঙ্গি
প্রসঙ্গত, জিতিন যদি বিজেপিতে যোগদান করেন, তাহলে তা গান্ধী পরিবারের জন্যও বড় ধাক্কা হবে। কারণ, জিতিনের পুরো পরিবারই বরাবরই গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ।
জিতিনের দাদু জ্যোতি প্রসাদ কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। তাঁর বাবা জিতেন্দ্র প্রসাদ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পদেও থেকেছেন। কিন্তু ২০০০ সালে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হয়। কারণ, তিনি কংগ্রেসের সভাপতি পদে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। সেবারই কংগ্রেসের সভানেত্রী হন সোনিয়া গান্ধী।
আরও পড়ুন: লালকেল্লার কাছে গ্রেফতার পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড ঘনিষ্ঠ জইশ জঙ্গি
যদিও জিতিন ২০০৪ ও ২০০৯ সালে কংগ্রেসের সাংসদ হয়েছিলেন। দেরাদুনের দুন স্কুলের এই প্রাক্তনী প্রথমবার সাংসদ হন শাজাহানপুর থেকে। সেবারই তাঁর জায়গা হয় মনমোহন সিং সরকারের মন্ত্রিসভায়।
২০০৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৯ মে মাসের মধ্যে তিনি পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারেও তিনি মন্ত্রী হয়েছিলেন। এবার তাঁকে দেওয়া হয়েছিল মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: দেশবাসী বিরোধীদের ক্ষমা করবে না, বালাকোট নিয়ে পিত্রোদাকে তুলোধনা মোদীর
উল্লেখ্য, এর আগে কংগ্রেসের নেতা টম ভাডাক্কান বিজেপিতে যোগ দিলেন। তিনি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর অনুগামী ছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে যোগদান করে তিনি জানিয়েছিলেন, পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা নিয়ে কংগ্রেসের মনোভাবে ব্যথিত হয়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন।