Deadly Landslide: ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে বন্দি ১৮০০ পর্যটক! বিকল্পপথে নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ শুরু...

Sikkim Lanslide Update: প্রাথমিক ভাবে প্রায় ১৪০০ পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। পরে সংখ্যাটা বেড়েছে। সিকিমের ৬ থেকে ৭টি জায়গায় ব্যাপক ধস রয়েছে। সেই সব এলাকায় রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলছে কদিন ধরেই।

নারায়ণ সিংহ রায়: আজ, সর্বশেষে প্রাপ্ত আপডেটে জানা গিয়েছে, অন্তত ৬০০ জন পর্যটক এখনও লাচেনে আটকে। ওদিকে, লাচুংয়ে আটকে অন্তত ১২০০ পর্যটক। উত্তর সিকিমের হাই-অল্টিটিউড হিল স্টেশনের মধ্যে পড়ে লাচেন ও লাচুং। এই দুই জায়গাতেই ঘটে গিয়েছে মহাবিপর্যয়। আপাতত লাচেন থেকে ইভাকুয়েশনের কাজ শুরু হয়েছে।

লাচেনে যেসব ট্যুরিস্টরা আটকে আছেন, প্রাথমিক ভাবে তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ জোরকদমে শুরু হয়েছে। আজ, রবিবার লাচুং হয়ে তাঁদের গুরুদংমার ও ডংডখেলা-- এই দুই জায়গায় আনা হচ্ছে। পরে সেখান থেকে তাঁদের চুংথাংয়ে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

গতকাল, শনিবার নতুন করে কোনও বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে বৃষ্টিপাত না হলেও ধসে বিপর্যস্ত হয়েছিল উত্তর সিকিমের একাধিক জায়গা। এর দুদিন আগে থেকেই ধসের কবলে পড়েছিল উত্তর সিকিমের লাচুং, লাচেন, চুংথাং-সহ একাধিক জায়গা। সেই সব জায়গায় আটকে পড়েছিলেন পর্যটকেরা। প্রাথমিক ভাবে প্রায় ১৪০০ পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। পরে সংখ্যাটা বেড়েছে। 

সিকিমের ৬ থেকে ৭টি জায়গায় ব্যাপক ধস রয়েছে। সেই সব এলাকায় জেসিবি দিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলছে কদিন ধরেই। শুক্রবার বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে প্রায় ২০০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। চুংথাং থেকে তাঁদের নামিয়ে সাংকলানের নবনির্মিত বেইলি ব্রিজ দিয়ে গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে তাঁদের নিয়ে আসা হচ্ছিল। সেদিন থেকেই বিকল্প রাস্তা হিসেবে জিরো পাস হয়ে লাচুং রোড হয়ে পর্যটকদের নামিয়ে আনার চেষ্টাও চালানো হচ্ছিল। 

চুংথাং ও লাচুংয়ের সংযোগকারী রাস্তা শনিবার বিকেলের মধ্যে খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বলে জানা গিয়েছিল শনিবার সকালের দিকেই। দুটি বড় ভূমিধস সরিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছিল শনিবারই। আজ, রবিবার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।