নিজস্ব প্রতিবেদন: ইভিএম নিয়ে হায়দরাবাদের ‘প্রযুক্তিবিদ’ সৈয়দ শুজার বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। ইকনমিক্স টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লন্ডনে শুজারের সাংবাদিক বৈঠকের কয়েক ঘণ্টার পরই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানা যাচ্ছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ ১(বি) ধারায় (বিভ্রান্তিমূলক নথি প্রকাশ্যে আনা) এফআইআর-র আবেদন জানাবে নির্বাচন কমিশন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লন্ডনে এক সাংবাদিক বৈঠকে ‘প্রযুক্তিবিদ’ সৈয়দ শুজা দাবি করেন, গত লোকসভা নির্বাচনে ইভিএম-এ ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। যার নেপথ্যে বিজেপি ছিল বলে দাবি শুজার। তিনি বলেন, নিম্ন তরঙ্গের কম্পনের মাধ্যমে ইভিএম হ্যাক করে বিজেপি। শুজা নিজেকে ইলেক্ট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার ‘প্রাক্তন কর্মী’ বলে দাবি করেছেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিব্বল। বিদেশের মাটিতে বসে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরিতে কংগ্রেস ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে সমালোচনা করে বিজেপি। ইভিএম প্রস্তুতকারী সরকারি সংস্থা ইলেক্ট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (ইসিআইএল)-র সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। যদিও ‘ইভিএম ডিজাইনার’ হিসাবে সৈয়দ শুজার নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি।


আরও পড়ুন- গোপীনাথ মুন্ডের মৃত্যুতে RAW বা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত দাবি ভাইপোর


নির্বাচন কমিশন শুজার অভিযোগ অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইভিএম দক্ষতার সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গত নির্বাচনের ব্যবহার করা হয়। নির্বাচন কমিশনের দাবি, ইভিএম প্রস্তুত করে কেন্দ্রীয় সংস্থা ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড এবং ইসিআইএল। কড়া নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত ত্রুটি পরীক্ষা করেই ইভিএম ব্যবহার করা হয়। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারদের পরিদর্শনে নজরদারি চালানো হয়। তবে, শুজার বিস্ফোরক দাবি, ইভিএম কারচুপি বিষয়ে অবগত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভিএস সম্পত। ইকনমিক্স টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ভিএস সম্পত।


আরও পড়ুন- সত্যিই ভোটে লড়ছেন করিনা? কী বললেন নবাব-ঘরণী?


নির্বাচন কমিশনের প্রযুক্তি প্যানেলের সদস্য রজত মুনা ইভিএম কারচুপির অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে দাবি করেন। তাঁর কথায়, ইভিএম কোনওভাবে তার দ্বারা বা তার বিহীন প্রযুক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় না। এমনকি তিনি দাবি করেন, ২০১০ সাল থেকে এই প্যানেলে সদস্য রয়েছি। সৈয়দ শুজা নামে কোনও ইভিএম ডেভালপার কাজ করেছিল কি-না তা মনে করতে পারছি না।