নিজস্ব প্রতিবেদন: জওহরলাল নেহেরুর কারণেই দেশ ভাগ হয়েছে, এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামা। গোয়ার শঙ্খালিম শহরে গোয়া ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টর এক অনুষ্ঠানে বুধবার এ কথা বলেন দলাই লামা। এক ছাত্রের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “গান্ধীজি চেয়েছিলেন জিন্নাহ দেশের প্রধানমন্ত্রী হোন, কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না জওহরলাল নেহেরু।” পাশাপাশি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে ‘আত্মকেন্দ্রিক’ বলেও অভিহিত করেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বিদায়বেলার 'কথা' ৩০ বছর আগেই লিখেছিলেন করুণানিধি


৮৩ বছরের এই বৌদ্ধ ধর্মগুরু মনে করেন, জিন্না যদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতেন তা হলে দেশ ভাগ হত না। ভারত-পাকিস্তান বিবাদে জওহরলাল নেহেরুকেই তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করান। দলাই লামা কথায়, “মহাত্মা গান্ধীর ভাবনা যদি বাস্তবায়িত হত, তাহলে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হত না। কিন্তু নেহেরু চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী হতে। নেহেরু অভিজ্ঞ এবং উদ্যমী হলেও ভুল তো কখনও কখনও হয়েই থাকে।”


এ দিনের অনুষ্ঠানে তিব্বত ছাড়ার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন দলাই লামা। ১৯৫৬ সাল থেকে তিব্বতের পরিস্থিতি অশান্ত হতে শুরু করে। ১৯৫৯ সালের ১৭ মার্চ এতটাই পরিস্থিতি খারাপ হয় তিব্বত ছাড়তে বাধ্য হন দলাই লামা। চিনার আগ্রাসী নীতির সমালোচনা করে বলেন, বন্দুকের নলে দাবিয়ে রাখত চিনা সেনা। তাঁর কথায়, “ ১৬ বছর বয়সে স্বাধীনতা হারিয়েছি। ২৪ বছর বয়সে দেশকে হারাই।  ১৭ বছর ধরে দেশের ধ্বংস দেখে এসেছি।”


আরও পড়ুন- করুণানিধির শেষকৃত্য নিয়ে তামিল সরকারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মমতা ফোন করলেন মোদীকে


এ দিন তিব্বতিদের উপর চিনা সেনার নির্যাতনের কাহিনি তুলে ধরেন দলাই লামা। তবে, চিনাদের শত্রু মনে করেন না বৌদ্ধ ধর্মগুরু। তিব্বতিরা তাদের সম্মান করে। দলাই লামা বলেন, “আমরা তাদেরকে ভাই-বোনের চোখেই দেখি।”