Meghalaya Honeymoon case: সোনমের সামনেই স্বামীকে ৫০০ ফুট গভীর খাদে...! ঠিক কত টাকায় বিক্রি হয়েছিল রাজার জীবন?
Meghalaya honeymoon murder: মেঘালয়ে হত্যাকাণ্ডের পরতে পরতে রহস্য। সোনমের সামনেই রাজাকে খুন করা হয়। ঠিক কত টাকা নিজের স্বামীর জীবন বিক্রি করেছিল সোনম?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মেঘালয় হানিমুনকাণ্ডে গ্রেফতার নববধূ সোনম। রাজা খুনে মূল ষড়যন্ত্রকারী সোনমই। সে মধ্যপ্রদেশ থেকে তিন জনকে সুপারি দিয়েছিল খুন করার জন্য।
সোনমের ষড়যন্ত্র:
জানা গিয়েছে, সোনম বিয়ের চারদিন পরেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল এবং তারপরে হানিমুনের অজুহাতে ষড়যন্ত্র শুরু করে। সোনম রাজার কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। রাজার পরিবার এখনও সেই টাকার হিসাব মেলাচ্ছে। সোনম প্রায় ১৭ দিন গাজিপুরে প্রেমিক রাজ কুশওয়াহারের সঙ্গে ছিল। এমনকী রাজ রাজা রঘুবংশীর শেষকৃত্যেও হাজির ছিল, যাতে কারোর সন্দেহ না হয়।
রাজা খুনের মাস্টারমাইন্ড: সোনম
রাজ কুশওয়াহা, আনন্দ, বিশাল, আকাশ- এই চারজনকে দিয়ে সোনম খুনের পরিকল্পনা করে। কিন্তু রাজ কুশওয়াহা কখনও শিলং যায়নি, ফোন আর চ্যাটের মাধ্যমেই পরিকল্পনা চালিয়েছে। সোনমকে পুঙ্খানুপুঙ্খ গাইড করেছে রাজ। কোথায়, কবে, কীভাবে খুন হবে—সব কিছু আগে থেকেই ঠিক ছিল।
ট্রেকিং চলাকালীন খুন:
শিলংয়ের সোরাভ্যালিতে ট্রেকিং চলাকালীন বিশাল প্রথমে রাজাকে আঘাত করে। এরপর রাজাকে খুন করে তার মৃতদেহ ৫০০ ফুট গভীর খাদে ফেলে দেওয়া হয়। সোনমের সামনেই এই গোটা ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে।
সোনম তার স্বামী রাজার জীবন কত টাকায় বিক্রি করেছিল?
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা জানিয়েছে যে ঘটনার দিন তারা পাহাড়ে উঠতে উঠতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল এবং রাজাকে খুন করতে চায়নি। তখন সোনম তাদের বলেছিল, 'আমি তোমাদের ২০ লক্ষ টাকা দেব, কিন্তু তোমাদের রাজাকে খুন করতে হবে।' এরপরই সোনম রাজার ব্যাগ থেকে ১৫হাজার টাকা বের করে তাদের হাতে দেয়।
আরও পড়ুন:Dipika Kakar Health Update: ১৪ ঘণ্টার জীবনমরণ সার্জারি! প্রথম ভ্লগে এসে দীপিকা কেঁদেই বললেন...
স্কুটির সূত্রে তদন্ত:
রাজা ও সোনম যেই স্কুটি ভাড়া করে। সেই স্কুটির সূত্র ধরেই পুলিস পুরো মামলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সাগর সেন নামের এক ব্যক্তি সেই স্কুটি ভাড়া দিয়েছিলেন রাজা ও সোনমকে, যার সাহায্যে তারা শিলং থেকে চেরাপুঞ্জি গিয়েছিলেন। সাগর পুলিসকে জানান যে, স্কুটি ৪ দিনের জন্য ২০০০ টাকায় ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ১০০০ টাকা নিরাপত্তা জামানতও রাখা হয়েছিল। স্কুটিতে জিপিএস ট্র্যাকার ছিল, যেটি থেকে পুলিস ডেটা সংগ্রহ করেছে। সাগরের কাছে কেউ সন্দেহজনক বলে মনে হয়নি। রাজা ও সোনম সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্কুটি নিয়েছিলেন। পরে রাজা রঘুবংশীর ভাই ২৫ তারিখে সাগরের সঙ্গে দেখা করেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)