`আমি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আফস্পা প্রত্যাহার করতে চাই` লৌহ মানবীর হুঙ্কার
দীর্ঘ ১৬ বছরের `ঐতিহাসিক` ও দীর্ঘতম অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটা আগেই নিয়ে ফেলেছিলেন। ঘোষণাও করে দিয়েছিলেন যে এবার ভোটে লড়বেন, বিয়েও করবেন। কিন্তু আজ ইরম শর্মিলা চানু যা বললেন তা একেবারেই অভূতপূর্ব। চানু আজ বলেছেন, `আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে চাই এবং মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আফস্পা প্রত্যাহার করতে চাই।`
ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘ ১৬ বছরের 'ঐতিহাসিক' ও দীর্ঘতম অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটা আগেই নিয়ে ফেলেছিলেন। ঘোষণাও করে দিয়েছিলেন যে এবার ভোটে লড়বেন, বিয়েও করবেন। কিন্তু আজ ইরম শর্মিলা চানু যা বললেন তা একেবারেই অভূতপূর্ব। চানু আজ বলেছেন, "আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে চাই এবং মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আফস্পা প্রত্যাহার করতে চাই।"
রুগ্ন, কাহিল চেহারার শর্মিলাকে আজ ইম্ফল হাসপাতাল থেকে স্থানীয় আদালতে নিয়ে আসা হয়। এই হাসপাতালেই গত ১৬ বছর কারাশয্যায় ছিলেন শর্মিলা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সে করে শর্মিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় আদালতে। সেই আদালত কক্ষেই শর্মিলা সটান জানিয়ে দেন তাঁর অনশনে ইতিটানার ইচ্ছার কথা। আদালত তাঁর ইচ্ছায় সম্মতি জানিয়ে তাঁকে একটি বন্ডে সই করতে বলে। প্রথমে এই বণ্ডে সই করার ব্যাপারে আপত্তি থাকলেও প্রবাদ প্রতিম এই মানবাধিকার কর্মী অবশেষে রাজি হন ১০ হাজার টাকার বন্ডে সই করে আইনত 'মুক্তি' নিতে।
আরও পড়ুন- অনশন প্রত্যাহার করে ভোটে লড়বেন চানু
ডাক্তারদের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আগামী কিছুদিন শর্মিলাকে তরল খাবারই খাওয়ানো হবে। তারপর ধীরে ধীরে শক্ত খাবার দেওয়া হবে। চানুর অগণিত সমর্থক ও তাঁর সংগঠন 'শর্মিলা কুনবা লুপ'-এর সদস্যরাও তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছেন। কারণ, এতদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হলে ১ মাস আগে থেকে পুলিসকে জানাতে হতো এবং গত ২৬ শে জুলাই থেকে (যেদিন তিনি নির্বাচনে লড়ার কথা ও বিয়ে করার কথা জানিয়েছেন) তাঁর সঙ্গে আর দেখা করা যায়নি। ফলে সমর্থকদের মধ্যে আবেগ ঘণীভূত হয়ে উঠেছে।
২০০০ সালের ২রা নভেম্বর ১০জন নিরাপরাধ মানুষের উপর গুলি চালিয়েছিল অসম রাইফেলের জওয়ানেরা। সেই ঘটনার প্রতিবাদ এবং ভারতের উত্তর পূর্বে সেনা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনের (আফস্পা) বিরুদ্ধে শর্মিলার যে ১৬ বছর ব্যাপি অনশন ভেঙে গেল আজ। এখন দেখার গণতন্ত্রের যে নতুন পথে তিনি আস্থা রাখছেন তা তাঁকে তাঁর স্বপ্নের আফস্পাহীন ভারতবর্ষ অর্জন করতে সুযোগ দেয় কিনা।