জেএনইউ-তে দেশবিরোধী স্লোগানের ৪টি ভিডিয়োই আসল, জানাল ফরেনসিক ল্যাব
জেএনইউ-তে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফরেনসিক পরীক্ষার ফল আসার পর আর কোনও সংশয় থাকল না। জেএনইউ ক্যাম্পাসে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ায় অভিযুক্ত কানহাইয়া কুমার ও ৪৬ জনের বিরুদ্ধে চারটি ভিডিয়ো প্রমাণ আসল বলে জানিয়ে দিল সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (সিএফএসএল)। ওই চারটি ভিডিয়ো এক্সক্লুসিভ দেখিয়েছিল জি নিউজ। তখন সেগুলি জাল বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।
জেএনইউ-তে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় চলতি মাসের ১৪ জানুয়ারি চার্জশিট পেশ করে দিল্লি পুলিস। ওই চার্জশিটে ১৩টি ভিডিয়ো প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হয়েছে। তার মধ্যে চারটি সম্প্রচার করেছিল জি নিউজ। ১২০০ পাতার চার্জশিটে ৪৭ জন অভিযুক্তের মধ্যে নাম রয়েছে কানহাইয়া কুমার, উমর খলিদ ও অনির্বাণ ভট্টচার্যের। তখন জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভাপতি ছিলেন কানহাইয়া কুমার।
২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সংসদ হানার মূলচক্রী কাশ্মীরি সন্ত্রাসবাদী আফজল গুরুর ফাঁসির দিন স্মরণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল জেএনইউ ক্যাম্পাসে। সেখানেই উঠেছিল দেশবিরোধী স্লোগান।
আরও পড়ুন- রাহুল নয়, কংগ্রেসের নেতৃত্বে জোট ক্ষমতায় এলে ইনিই হবেন প্রধানমন্ত্রী: সূত্র
চার্জশিটে প্রমাণ হিসেবে ১৩টি ভিডিয়ো দেওয়া হয়েছে। ৯টি ভিডিয়ো তোলা হয়েছে মোবাইল ফোনে। তবে জি নিউজের সম্প্রচারিত চারটি ভিডিয়োয় স্পষ্টভাবে শোনা গিয়েছে দেশবিরোধী স্লোগান। সেই ভিডিয়োগুলির সত্যতা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। কিন্তু, ফরেনসিক পরীক্ষায় হেস্তনেস্ত হয়ে গেল।
জেএনইউ-তে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের তত্কালীন সভাপতি কানহাইয়া কুমার-সহ আরও ৯ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ, হিংসা ও ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের ধারায় চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিস। দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় ৭ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিস। তাঁরা সকলেই কাশ্মীরের বাসিন্দা। জেরায় কানহাইয়া কুমার, উমর খলিদ ও অনির্বাণ ভট্টচার্যের সঙ্গে যোগ থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন অভিযুক্তরা। পুলিস মোবাইল রেকর্ড খতিয়ে দেখার পর নিশ্চিত হয়, অভিযুক্তদের সঙ্গে কানহাইয়াদের যোগ ছিল। সূত্রের খবর জেরায় মুনিদ ও মুজিদ স্বীকার করেছিলেন, তাঁরা পূর্বপরিচিত (দুজন ভাই)। তবে অন্যরা দাবি করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পোস্টার দেখে যোগ দিয়েছিলেন। চার্জশিট বলছে, পাথর নিক্ষেপকারীদের পক্ষ নিয়ে স্লোগান দিয়েছিলেন মুজিব।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে অর্থবর্ষ, শীঘ্রই ঘোষণা
আকিব পুলিসকে জানিয়েছিলেন, উদ্যোক্তাদের চিনতেন না তিনি। ঠান্ডার কারণে মুখ ঢেকেছিলেন। কিন্তু মোবাইল কলের তথ্যে স্পষ্ট হয়, অনুষ্ঠানের আগে উমর খলিদকে ফোন করেছিলেন আকিব। ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর দুপুর ২টো বেজে ৪৩ মিনিটে গিয়েছিল ফোন। বলে রাখি, এই আকিবের হাতেই ছিল আজাদির প্ল্যাকার্ড। আর এক অভিযুক্ত উমর গুল দাবি করেছিলেন, পোস্টার দেখে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর মোবাইলের কল তথ্য বলছে, মুজিবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এমন তথ্য থেকে পুলিস নিশ্চিত, অনেক আগে থেকে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।