নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যপ্রদেশে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সরকার ফেলে দিয়েছেন। তাঁর বন্ধু এবার বিদ্রোহ করেছেন রাজস্থানে। সেখানেও পরিস্থিতি বিজেপির অনুকূলে আসার সম্ভাবনা। মঙ্গলবার উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সচিন পাইলটকে ছেঁটে দিয়েছে দল। ঠিক তখনই পুরনো দলকে আরও একবার নিশানা করছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)। তাঁর কটাক্ষ, ব্যবসার মতো প্রশাসন চালায় কংগ্রেস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত মার্চে ২২ বিধায়ক নিয়ে কংগ্রেস ছাড়েন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে কমলনাথের (Kamal Nath) সরকার। ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন শিবরাজ সিং চৌহান। এদিন সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ''মধ্যপ্রদেশে ১৫ মাস ধরে ব্যবসার মতো প্রশাসন চালিয়েছে কংগ্রেস। সেজন্য মানুষ দূরে সরে গিয়েছে। ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে কংগ্রেসের শাসনে।'' জ্যোতিরাদিত্যর নিশানায় যে কমলনাথ (Kamal Nath) ও দিগ্বিজয় সিং (Digvijaya Singh), তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 


রাজস্থানে টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল, সোমবার মন্তব্য করেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। টুইট করেন,''আমার পুরনো সতীর্থ সচিন পাইলটকেও কোণঠাসা করে দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এটা দেখে খুব খারাপ লাগছে। বোঝাই যাচ্ছে, কংগ্রেসে যোগ্যতার ঠাঁই নেই।''



এদিনই উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সচিন পাইলটকে (Sachin Pilot)। তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই মন্ত্রী বিশ্ববেন্দ্র সিং ও রমেশ মিনাও গদিচ্যুত হয়েছেন। এরপরই টুইটারে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সচিন পাইলট। তাঁর মন্তব্য,'সত্যকে অতিষ্ট করা যেতে পারে, তবে পরাজিত নয়।'    



২০১৮ সালে রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের জয়ে বড় ভূমিকা ছিল সচিন পাইলট ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। কিন্তু দুই রাজ্যেই প্রবীণ মুখকে প্রাধান্য দেয় কংগ্রেস। দু'জনের চাপা ক্ষোভ সামাল দিতে আসরে নামেন রাহুল গান্ধী। তখনকার মতো পাইলট ও সিন্ধিয়ার মানভঞ্জন করেন। 


আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: মধ্যপ্রদেশে জঙ্গল ছেড়ে ফ্লাইওভারে বাঘ, হুঙ্কারেই স্তব্ধ যান চলাচল