বন্যাপরিস্থিতির অবনতির মধ্যেই কেরলে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস
কেরলের বন্যাপরিস্থিতিকে ৫০ বছরের ভয়াবহতম বলে শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে আলফোন্স। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে কেন্দ্রীয় সরকার, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সেনার কাছে সাহায্য চেয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগাড়ে বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড কেরলের জন্য আরও আশঙ্কার খবর। শুক্রবার আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টি হবে দক্ষিণের এই রাজ্যে। ওদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ইদুক্কি বাঁধে তৃতীয় বারের জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খুলে দেওয়া হয়েছে বাঁধের আরও দুটি দরজা। যার জেরে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে প্লাবনে সেরাজ্যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নেহেরুকে নিয়ে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন দলাই লামা
কেরলের বন্যাপরিস্থিতিকে ৫০ বছরের ভয়াবহতম বলে শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে আলফোন্স। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে কেন্দ্রীয় সরকার, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সেনার কাছে সাহায্য চেয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ইতিমধ্যে আয়ানাক্কুলু, ইদুক্কি, ওয়ানাড়, কোঝিকোড় ও মালাপ্পুরমে ত্রাণকাজে নামানো হয়েছে সেনার ২০০ জন সেনা জওয়ান ও আধিকারিককে।
নাগাড়ে বৃষ্টিতে কেরলে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধসের খবর মিলেছে। নীলগিরি পর্বতমালায় ধসের ফলে এখনো পর্যন্ত ২৬ জনের খবর মিলেছে। এরনাকুলম ও ইদুপ্পি জেলার নীচু জায়গা থেকে বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু করেছেন উদ্ধারকারীরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেরলের মোট ২২টি বাঁধের জল বিপদসীমা ছুঁয়েছে। ফলে খুলে দিয়ে হয়েছে বাঁধগুলির লকগেট। ২৬ বছর পর খুলতে হয়েছে ইদুক্কি বাঁধের লকগেট। এর ফলে সেরাজ্যের সৈকত লাগোয়া নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য গোটা রাজ্যে ২৪১টি ত্রাণশিবির খুলেছে সরকার। বন্যাদুর্গত কেরলের জন্য ৫ কোটি টাকা সাহায্য ঘোষণা করেছেন পড়শি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী।
ওদিকে ধসের জেরে কেরলের মুন্নার জেলায় একটি রিসর্টে ৬৯ জন পর্যটক আটকে গিয়েছেন বলে খবর। এদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশিও রয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আটকে পড়া পর্যটকরা নিরাপদেই রয়েছেন। তাঁদের দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা হচ্ছে।